নাটোরের দর্শনীয় স্থান
রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত নাটোর জেলা। এটি আয়তনে ছোট হলেও নাটোরে দেখার মতো অনেক সুন্দর দর্শনীয় স্থান আছে। আয়তনের দিক থেকে নাটোর বাংলাদেশের ৩৫ তম জেলা। বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমের আটটি জেলার মধ্যে একটি জেলা।
নাটোরে দেখার মত অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে তার মধ্যে নাটোরের রানী ভবানী, নাটোরের রাজবাড়ি, উত্তরা গণভবন, চলন বিল, হালটি বিল ইত্যাদি। আজকে এই আর্টিকেলটিতে নাটোরের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃ নাটোরের দর্শনীয়৭টি স্থান সম্পর্কে যা জানতে পারবো
নাটোর জেলার বর্ণনা
নাটোর জেলা রাজশাহী বিভাগের মধ্যে অবস্থিত। নাটোর জেলার আয়তন ১৯০৫. ০৫ বর্গ
কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে নাটোর বাংলাদেশের ৩৫ তম জেলা। নাটোর জেলার উত্তরে
নওগাঁ জেলা ও বগুড়া জেলা এবং দক্ষিণে পাবনা জেলা ও কুষ্টিয়া জেলা। নাটোর
জেলার পশ্চিমে রাজশাহী অবস্থিত। নাটোর জেলায় দেখার মতন অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান
রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হল নাটোরের রাজবাড়ী, উত্তরা গণভবন, চলন বিল,
নাটোরের কাঁচাগোল্লা, হালতির বিল ইত্যাদি। নাটোর জেলা আয়তনে ছোট হলেও এখানে
দেখার মতন অনেক সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
অষ্টাদশ শতকের শুরুতে নাটোর রাজবংশের উৎপত্তি হয়। ১৮৪৫ সালে রাজশাহী জেলার অধীনে
নাটোর মহকুমার সৃষ্টি হয়। আর অন্যান্য মহাকুমার মত জেলায় উন্নীত হয়
১৯৮৪ সালে। নাটোর শহরটি পদ্মা যমুনা মিলনস্থল হতে 107 কিলোমিটার পশ্চিম
উত্তরে মাঝামাঝি। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় নাটোরের লালপুর
উপজেলায়। চলনবিল যদিও পাবনা সিরাজগঞ্জের মধ্যে পড়ে কিন্তু চলনবিলের একাংশ
নাটোরে রয়েছে। নাটোরে মোট আটটি পৌরসভা রয়েছে। বর্তমানে নাটোরের আরেকটি
আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে নাটোরের গ্রিন ভ্যালি পার্ক । প্রচুর
দর্শনার্থী এই পার্কে ভিড় করে।
আরো পড়ুনঃ
নাটোর জেলার দর্শনীয় স্থান
নাটোরে দেখার মত অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। নাটোরে সুবিশাল ইতিহাস ও ঐতিহ্য
রয়েছে। নাটোরে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রাজা-প্রমা দানাথের প্রতিষ্ঠিত
রাজবাড়ী উত্তরা গণভবন নামে যেটি পরিচিত। নাটোর জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর
নাম নিম্নে দেওয়া হল-
- উত্তরা গণভবন
- চলন বিল
- গ্রিন ভ্যালি পার্ক
- হালতির বিল
- দীঘাপতিয়া রাজবাড়ী
- শেরশার সরাইখানা
- নাটোর শহরে জয় কালী বাড়ি
- ফকির মজনু শাহের আশ্র বুড়া পীরের মাজার
- চলন বিল জাদুঘর
- তিশাখালী মাজার
- রানী ভবানী জঙ্গল
- বুধপাড়া কালীমন্দির
- শহীদ সাগর
- রানী ভবানী নাটোর, রাজশাহী
গ্রিন ভ্যালি পার্ক নাটোর
নাটোরের মধ্যে গ্রিন ভ্যালি পার্ক এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। প্রচুর
দর্শনার্থী দূর দূরান্ত থেকে এসে এই পার্কে বেরিয়ে যায়। গ্রীন ভ্যালি পার্ক
টি খুব সুন্দর পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে। নাটোর লালপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র 2
কিলোমিটার দূরত্বে এই পার্কটি অবস্থিত। সব বয়সের দর্শনার্থীরা বিনোদনের জন্য
এবং বিভিন্ন রাইডারে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্য এটি একটি আদর্শ পার্ক। গ্রিন
ভ্যালি পার্কে অনেক ধরনের রাইডার রয়েছে তার মধ্যে নাগরদোলা, পাইরেট শিপ,
স্পিডবোর্ড, বুলেট ট্রেন, মিনি ট্রেন ইত্যাদি। প্রায় ৩০ একর জায়গা জুড়ে এই
পার্টি অবস্থিত।
গ্রিন ভ্যালি পার্ক খুবই সুন্দর একটি পার্ক, নানান জাতি ফুল গাছ দিয়ে সাজানো
মনোরম পরিবেশ। গ্রিন ভ্যালি পার্কে মোট ১৬টিরও বেশি রাইডার রয়েছে, যেটা
বাচ্চারা খুব এনজয় করে। গ্রিন ভ্যালি পার্কে চাইলে আপনারা আরো অনেক
সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন কারণ এখানে রয়েছে শুটিংস স্পট, পিকনিক স্পট, বিদ্যুৎ
ব্যবস্থা ও সার্বিক নিরাপত্তা, এখানে চাইলেও কনসার্ট করা যাবে। এখানে আরো
সুবিধা আছে এখানে নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে চাইলে রাতে থাকারও ব্যবস্থা আছে।
নাটোরের মধ্যে গ্রিন ভ্যালি পার্ক টি হল এখন জনপ্রিয়তার আরেক নাম।
হালতির বিল
নাটোরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে হালতির বিল হলো আরেকটি দর্শনীয় জায়গা। বিশেষ
করে বর্ষাকালে যখন পানি আসে তখন এই বিল দেখতে অন্যরকম সুন্দর লাগে। এটি নাটোর
সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নলডাঙ্গা থানায় অবস্থিত। এটি আরেকটি বিনোদন
কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। আত্রাই নদীর সাথে যুক্ত থাকার কারণে এই বিলটিতে
সুস্বাদু বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। বিভিন্ন রীতিতে বিভিন্ন রকম
রূপ ধারণ করে এই হালতির বিল। প্রচুর দর্শনার্থী এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য
ভিড় করে। বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত বিলের আশেপাশে পাঁচ ফুট থেকে ৮ ফুট
পানিতে নিমজ্জিত থাকে। তখন এই বিলের মাঝখানের ছোট গ্রাম গুলোকে দ্বীপের মতো
দেখতে লাগে।
হালতির বিলের আরেকটা আকর্ষণীয় দিক হলো এর মধ্য দিয়ে পিঁপড়লের সাথে খাজুরার
সংযোগকারী ৮ কিলোমিটার লম্বা সাবমারসিবল রাস্তাটি বিলের আরও সৌন্দর্য বাড়িয়ে
তুলে। হালটির বিল যাওয়ার পথে পাটুল থেকে খাজুরা পর্যন্ত এক অপরূপ সৌন্দর্য ধরা
পড়ে। বিলের উত্তাল ঢেউ এবং বাতাস দর্শনার্থীদের মন উজাড় করে দেয়। প্রতি
বছর বর্ষাকালের সময় এই বিলটি অনেক জনবহুল হয়ে ওঠে অনেক নৌ ভ্রমণ এবং নয়ন
জুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে প্রচুর পর্যটক আসে। হালদির বিলের সৌন্দর্য দেখতে
প্রত্যেকের একবার ঘুরে আসা উচিত।
আরো পড়ুনঃ
চলনবিল নাটোর
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিলের নাম হচ্ছে চলনবিল। সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলা
জুড়ে ছোট ছোট অনেকগুলো বিলের সমষ্টিতে এই চলন বিল। চলনবিলের সৌন্দর্য দেখার
মত। সকালে এই চলনবিলের সৌন্দর্য দুই গুন বেড়ে যায়। তখন ৩৬৮ বর্গ কিলোমিটার
এলাকায় পানিতে একাকার হয়ে যায়। বর্ষাকাল ছাড়াও এই চলন বিলে সবসময়
নৌকা চলাচল করে। এই বিলের অন্যরকম বৈচিত্র্যপূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক
দর্শনার্থীরা ভিড় করে এই চলন বিলে। চলন বিল থেকে তাকালে দূর থেকে ছোট ছোট
গ্রাম, উপরে সৌন্দর্য আকাশ, বিলের আশেপাশে দিয়ে কাশফুল ফোটে এ যেন এক অপূর্ব
সৌন্দর্যের সাক্ষী।
চলনবিল দেখার পর চাইলে আপনারা ঘুরে আসতে পারেন চলনবিল জাদুঘরটি। এই জাদুঘরটি
গুরুদাসপুর উপজেলার হুবজিপুর গ্রামে অবস্থিত। ওইখানকার স্থানীয় শিক্ষক আব্দুল
হামিদ নিজের প্রচেষ্টায় নিজ বাসভবনে ১৯৭৮ সালে গড়ে তুলেছেন এই ব্যতিক্রম
ধর্মী সংগ্রহশালা। এই জাদুঘরটিতে রয়েছে নানান প্রজাতির মাছ ধরার বিভিন্ন
দৃশ্য এবং সরঞ্জাম। এখনকার সময় এগুলো আসলে দুর্লভ সংগ্রহ। প্রচুর
দর্শনার্থী পরিবারসহ প্রতিবছর এই চলনবিল এবং চলন বিল জাদুঘরে দর্শন করতে
আসে।
উত্তরা গণভবন নাটোর
নাটোর জেলার আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী যেটা বর্তমানে
উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। নাটোরের রানী রানী ভবানী তার নায়েব দয়া রাম রায়কে
দিঘাপতিয়া পরগনা উপহার দেন। পরবর্তীতে নায়েক সেখানে কয়েকটি প্রাসাদ গড়ে
তুলেন। এখানে রয়েছে ৪৩ একর আয়তনের লেখ ও প্রাচীর বেষ্টিত রাজবাড়ী এবং এই
রাজবাড়ীতে রয়েছে ১২ টি ভবন। উত্তরা গণভবনের সবচেয়ে মূল আকর্ষণ হল পিরামিড
আকৃতির চার তলা প্রবেশদ্বারের চূড়ায় বিখ্যাত এন্ড টেলভি কোম্পানির তৈরি একটি
ঘড়ি যেটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয়।
এই প্রাসাদের মূল জাগায় ঢুকলে রাজার সিংহাসন এবং তলোয়ার পাওয়া যায়, এছাড়াও
এখানে ইতালি থেকে সংগ্রহকৃত ভাস্কর্য রয়েছে এবং একটি বাগানো রয়েছে। এই বাগানে
ওষুধি কিছু গাছগাছরা রয়েছে যেমন নীলমণি লতা, পারিজাত, যষ্টিমধু,
তারা ঝরা, মাধবী, সাইকাস ইত্যাদি। এই উত্তরা গণভবনটিতে জমিদারের ভাস্কর্য,
চারটি কামান, তহশীল অফিস ও অতিথি শালা রয়েছে। নাটোর জেলা শহর থেকে মাত্র তিন
কিলোমিটার দূরে এই উত্তরা গণভবনটি অবস্থিত। উত্তরা গণভবন পরিদর্শন করতে চাইলে
জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়।
নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত
নাটোর আসলে কাঁচা গোল্লার জন্য বিখ্যাত। এটি নাটোরের ঐতিহ্যবাহী খাবার। যারা
মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তাদের পছন্দের তালিকায় এই কাঁচা গোল্লাটি
সবার প্রথমে। এছাড়াও এই কাঁচা গোল্লা টির জন্য নাটোর দেশের বাইরেও
বিখ্যাত। দেশের ১৭ তম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই কাঁচা গোল্লা।
তৈরির মূল উপাদান হলো দুধের ছানা ও চিনি। অতিথি আপ্যায়নে নাটোরের মানুষেরা
কাঁচা গোলা ব্যবহার করে থাকে। এই কাঁচা গোল্লাটির ইতিহাস প্রায় আড়াইশো
বছরের পুরনো।
১৭৫৭ সালের পর থেকে কাঁচাগোল্লা জনপ্রিয়তা লাভ করে। ওই সময় রানী ভবানীর
রাজত্বকালে কাঁচা গোল্লার সুখ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তখনকার জমিদারদের
মিষ্টি জাতীয় খাবার ছিল এই কাঁচা গোল্লা এবং তখনকার সময়ে কাঁচা গোল্লা ভারতেও
নিয়ে যাওয়া হত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কাঁচা গোল্লার সুনাম দেখা যায়।
নাটোরের কাঁচাগোলার সাত অন্যান্য মিষ্টির স্বার্থেও হার মানায়। রানী
ভবানী রাজত্বকালে নাটোরের লালবাজারে মধুসূদন নামে একজন ব্যক্তি যিনি ছিলেন
একজন মিষ্টি বিক্রেতা তিনি এ রাজবাড়ীতে মিষ্টি সরবরাহ করতেন। মিষ্টির স্বাদে
অভিভূত হয়ে রানী ভবানী এই মিষ্টির নামকরণ করেন কাঁচাগোল্লা।
আরো পড়ুনঃ
রানী ভবানী নাটোর রাজবাড়ী
বাংলাদেশের নাটোর সদর উপজেলায় এই নাটোর রাজবাড়ীটি অবস্থিত যেটি নাটোরের
রাজবংশোদের একটি স্মৃতি চিহ্ন। এই নাটোর রাজবাড়ির আয়তন ১২০ একর। রাজবাড়ীতে
পাঁচটি ছোট পুকুর এবং দুটি গভীর কুকুর রয়েছে। এই রাজবাড়ীটি দুইটি অংশে বিভক্ত
ছোট তরফ ও বড় তরফ। এই নাটোরে রাজবাড়ীতে রাজ বংশের বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা
হয়েছে। যেটা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করে। তাইলে এখানে
পিকনিকও করা যায়। বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে বছরে একবার হলেও এখানে মানুষ পিকনিক
করতে আসে এবং রাজবংশের বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।
রানী ভবানীর রাজত্বের সময় এ রাজবাড়ীতেই দেখতে অনেক সুসজ্জিত ছিল। এই
রাজবাড়ীটি রামজীবন বিলে দিঘী ও কুকুর খনন করে সমতল করেন এবং রাজবাড়ী স্থাপন
করেন, তখন এই এলাকাটির নাম ছিল নাট্যপুর। ১৭১০ সালে নাটোর রাজবাড়ি নিয়মিত
হয়েছিল। নাটোরের রাজবাড়ি সবচেয়ে পুরাতন রাজবাড়ী নাটোরের মধ্যে। পরিবার
পরিজন নিয়ে আপনি চাইলেও এই নাটোরের রাজবাড়ি একবার হলেও ঘুরে আসতে পারেন আশা
করি হতাশ হবেন না।
বুধপাড়া কালীমন্দির
৫৩০ বছরের পুরনো বুটপাড়া কালীমন্দির নাটোর জেলা লালপুর উপজেলায় অবস্থিত। যখন
এই মন্দিরটি স্থাপিত হয় তখন এই উপমহাদেশে নবাবী আমল চলছিল। নবাব আলীবর্দী
খানের আমলে বর্গীয়রা হাঙ্গামা করত। এই বরকি ওদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে
মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের খাগড়া থেকে ষাটঘর কংস বণিক নাটোরের বুটপাড়া এসে
বসতি স্থাপন করে, আর সেই সময় কালী পূজার অর্জনের জন্য ঘরের একটি মন্দির তৈরি
করে যা বর্তমানে বুধপাড়া কালীমন্দির নামে পরিচিত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে
এই মন্দির খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এই মন্দির দেখতে মাঝে মাঝেই অনেক লোকজন ভিড় করে। বিশেষ করে হিন্দু গোত্রের
লোকেরা এই মন্দিরে পূজা করতে আসে। ১৩৩২ সালে খরের তৈরি মন্দিরটি পাকা দালানে
পরিণত হয়। বিশেষ পূজা পার্বণে হিন্দুরা এই মন্দিরে পূজা দিতে আসে, যখন পূজা
চলে তখন কালী মন্দিরের আশেপাশে মেলা বসে। এখানে মুসলিমরাও দর্শন করতে আসে মাঝে
মাঝে। প্রতিবছর কার্তিক মাসে এই মন্দিরে ধুমধাম করে পূজা উদযাপন করা হয় এজন্য
এই মন্দির দর্শনীয় স্থানের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
উপসংহার
এই আর্টিকেলটিতে আমি নাটোর জেলার দর্শনীয় কিছু স্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
নাটোরের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। যারা নাটোর জেলা সম্পর্কে
জানেন না তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি হতে পারে খুবই উপকারী। বর্তমান সময়ে
নাটোর জেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হল গ্রিন ভ্যালি পার্ক আমার মতে।
এই আর্টিকেলটিতে কোন কিছুতে বুঝতে সমস্যা হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন আমি এর
সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url