টেস্টোস্টেরন হরমোন টেস্ট খরচ বাংলাদেশ

টেস্টোস্টেরন টেস্ট হলো একটি রক্ত পরীক্ষা যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পরিমাপ করতে ব্যবহার করা হয়। পুরুষ ও মহিলা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন, এটি সামগ্রিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

টেস্টোস্টেরন-টেস্ট-খরচ-বাংলাদেশ

পুরুষের মধ্যে টেস্টোস্টেরন পেশি ভর, যৌন ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে। এই পরীক্ষাটি মূলত বন্ধ্যাত্ব এবং নির্দিষ্ট হরমন জনিত সমস্যা নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আজকে টেস্টোস্টেরন হরমোনের কেমন খরচ হয় আমাদের এই বাংলাদেশে সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। 

পেজ সূচিপত্রঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষার খরচ ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিম্নে আলোচনা করা হলো

টেস্টোস্টেরন হরমোন কি?

টেস্টোস্টেরন টেস্ট রক্তে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ মূল্যায়ন করে। এই হরমোন পুরুষদের বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী, এটি হাড়ের শক্তি এবং ঘনত্বের পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। টেস্টোস্টেরন হরমোন বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, 20 বছরের বেশি বয়সী ৬০%, ৫০ বছরের বেশি বয়সী ৮০% পুরুষদের মধ্যে কম হরমোন পাওয়া যায়।টেস্টোস্টেরন প্রতিস্থাপন থেরাপি, যা ইঞ্জেকশন প্যালেট বা জেলে রাখারে আসতে পারে। বেশিরভাগ সময় পুরুষদের এই হরমোনের চিকিৎসা করতে হয়। কম হরমোন থাকার জন্য শরীরের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদী পরিণতি হতে পারে, শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল এবং হাড় ক্ষয় গেলে তখন এই অবস্থা কে বলে অস্টিওপোরোসিস।
আরো পড়ুনঃ

টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ার লক্ষণ

টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ার অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে। লক্ষণগুলো নিজে দেওয়া হলো-
এ হরমোন বেড়ে গেলে যকৃতের সমস্যা দেখা দিতে পারে
  1. হরমোন বেড়ে যাওয়ার ফলে পায়ে পানি জমা ও পা ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে
  2. হরমোন বেড়ে গেলে শুক্রাণু সংখ্যা কমে যায় এবং যৌন ক্ষমতা বেড়ে যায়
  3. টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে ব্রীজ যন্ত্রের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়
  4. এই হরমোন বেড়ে গেলে ওজন বেড়ে যায়
  5. অনেক সময় আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়
  6. কিশোর কিশোরীদের খাটো হওয়ার প্রবণতা থাকে

টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগে?

টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষা খরচ বিভিন্ন ল্যাবরেটরী এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। তবে বাংলাদেশ বিশেষ করে ঢাকায় পরীক্ষার খরচ সাধারণত ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে এই টেস্টের খরচ খুব কম ৩৫০ থেকে ৮০০ রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে এই বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে জানতে আপনার বাড়ির আশেপাশের হাসপাতালের যোগাযোগ করা উত্তম। বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক এর বিভিন্ন রকম টেস্টের খরচ নির্ধারণ করা থাকে। তবে বাংলাদেশের ঢাকায় আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অফ প্যাথলজি তে সবচেয়ে কম খরচ লাগে মাত্র ৪৫০ টাকা। আর এই টেস্ট খুবই সহজ, দিয়ে রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

মেয়েদের হরমোন টেস্ট খরচ বাংলাদেশ?

মেয়েদের হরমোন টেস্টের খরচ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। কারণ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার খরচ আলাদা আলাদা। অনেক সময় পরীক্ষার ধরন এবং পরীক্ষার সংখ্যা ভেদে পরীক্ষার দাম নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত মেয়েদের হরমোন টেস্টের খরচ হলো কয়েকশো টাকা থেকে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • ইস্ট্রোজেন হরমোনের খরচ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা
  • প্রজেক্টেরন হরমোন খরচ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা
  • টিএসএইচ টেস্ট খরচ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা 
  • টি থ্রি টেস্ট খরচ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা
  • টি ফোর টেস্ট এর খরচ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা
  • কমপ্লিট থাইরয়েড প্রোফাইল ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা
  • কটি সল টেস্ট খরচ ৭০০ থেকে ১১০০ টাকা
  • প্রলাক্টিন টেস্ট খরচ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা

টেস্টোস্টেরন কম হবার লক্ষণ

টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা কমে যাওয়ার বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে। নিম্নে এই হরমোন কমে যাওয়ার কারণ দেওয়া হল
  • দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ থাকলে টেস্টোস্টেরন কমে যায়
  • অতিরিক্ত অ্যালকোহল জাতীয় পানিও পান করলে
  • যকৃতের পচন রোগ
  • এইচ আই ভি এইডস হলে
  • হঠাৎ স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন কমে গেলে
  • অতিরিক্ত অনলাইন আসক্তির জন্য অলস সময় পার করলে এই হরমোন কমতে থাকে
  • জন্মগত ত্রুটি থাকার কারণে
  • অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস টাইপ টু থাকার কারণে
  • আদর্শ খাবার গ্রহণ না করলে
  • প্রোল্যাকটিক হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়
  • গ্রন্থির টিউমার হলে
  • অন্ডকোষের সংক্রমণ বাড়লে
  • ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি দিলে
  • ধূমপান করলে

যে পাঁচটি খাবার টেস্টোস্টেরনের হরমোন বৃদ্ধি করে

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যের উপর নজর দেওয়া দরকার, এজন্য নির্দিষ্ট ডায়েট ফলো করে এবং ব্যায়াম করে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়াও কয়েকটি খাবারের মাধ্যমেও এই হরমোন বৃদ্ধি করা সম্ভব। দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো আপনার শরীরে হরমোন বাড়াতে সাহায্য করবে। চলুন পাঁচটি খাবারের নাম জেনে নেওয়া যাক
টেস্টোস্টেরন-হরমোন-বৃদ্ধির-খাবার


  1. বেদানাঃ বেদানা একটি আদর্শ খাবার কারণ বেদানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি অক্সিডেটিভ টেনশন কমাতে সাহায্য করে। মানুষের মধ্যে মানসিক চাপে হল হরমোন ওঠা নামার অন্যতম কারণ। নিয়মিত বেদানা খেলে মানসিক চাপ কমে যায় ফলেটেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়।
  2. তেল যুক্ত মাছঃ অনেক রকমের মাছ আছে যেগুলো তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। কাতলা, রুই, বোয়াল, সামুদ্রিক মাছ, চিতল মাছ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি রয়েছে। এই ভিটামিন টি টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং হৃদ যন্ত্র ভালো রাখে।
  3. ডিমঃ ডিম রয়েছে প্রচুর পরিমানে এমন এসিড এবং ভিটামিন ডি। এজন্য এই হরমোন বৃদ্ধির কাজে ডিমের ভূমিকা অপরিসীম। তাই প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখা জরুরী পাশাপাশি প্রোপার ডায়েট মেন্টেন করা উচিত।
  4. উদ্ভিজ্জ দুধঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর জন্য উদ্ভিজ্জ দুধের ভূমিকা অনেক। ওটস এর দুধ, আমন্ড, সয়া ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপাদান রয়েছে। তবে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের কাছে উদ্ভিজ্জ দুধ একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।
  5. কলাঃ টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধির জন্য রোজ ডায়েটে কলা রাখতে পারেন। এটি হরমোন বৃদ্ধির জন্য অনেকটাই সাহায্য করে। নিয়মিত কলা খেলে শরীরের শক্তি যোগায় এবং এনার্জি ঠিক মনে হয়।
আরো পড়ুনঃ

টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা কেন করা হয়

টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা বিভিন্ন কারণে করা হয়ে থাকে। কারণগুলো নিম্নে দেওয়া হলো
  • হরমোন মনিটরিং রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিঃ যেসব ব্যক্তি টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি রয়েছে তাদেরকে মনিটরিং করতে এই রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিটি করা হয়। আমি তো টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা হরমোনের মাত্রা নির্ণয় করতে সাহায্য করে। পরীক্ষার মাত্রা সীমার মধ্যে আছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
  • বয়সন্ধিকালে কিছু বিষয় জানার জন্যঃ বয়সন্ধিকালে এই হরমোনের মাত্রা ঠিক আছে কিনা না বিলম্বিত হচ্ছে সেটি জানার জন্য কিশোর কিশোরীদের হরমোনের মাত্রা নির্ণয় করতে টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা করা হয়। এই মাত্রা জানতে পারলে বয়সন্ধিকালেই ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
  • স্বাস্থ্যের অবস্থার পরীক্ষা করতেঃ টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই কিছু শাস্তির অবস্থা জানার জন্য এই হরমোনাল পরীক্ষা করা হয় যেমন বেশি নষ্ট হওয়া, অস্টিওপেরোসিস এবং নির্দিষ্ট রকমের ক্যান্সার। স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার জন্য এই পরীক্ষার ভূমিকা অনেক বেশি।
  • হরমোন জনিত সমস্যা নির্ণয় করার জন্যঃ ছেলে মেয়ে উভয়েরই হরমোন জনিত সমস্যা থাকতে পারে। তাই হরমোন জনিত সমস্যা নির্ণয় করার জন্য এই টেস্টি করা হয়। মাত্রা বেশি আছে না খুবই কম রয়েছে। পুরুষদের মধ্যে এই হরমোন কম থাকলে হাইপোগোনাডিজম এর মত অবস্থার জানান দিতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হরমোনের মাত্রা অধিক হলে পলিসিটিক ওভারিয়ান সিন রম এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • হরমোনের মাত্রা জানতেঃ শরীরে রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নির্ণয় করা হয় পুরুষ ও মহিলাদের। এই পরীক্ষাটি মূলত একজন মানুষের বয়স এবং লিঙ্গ ভেদে নির্ণয় করা হয়। আর এর মাত্রা স্বাভাবিক আছে কিনা সেটাও নির্ণয় করতে সাহায্য করে।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়

আপনি যদি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেন তাহলে নিয়মমাফিক জীবন যাপন করা জরুরী। এই প্রাকৃতিক উপায় এর মধ্যে প্রথম উপায় হল আপনার ওজন স্বাস্থ্যকর ভাবে বজায় রাখা, কারণ অতিরিক্ত স্থূলতা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই প্রতিটি নিয়ম করে ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরী। নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম বিশেষ করে ওয়েট ট্রেনিং এবং উচ্চ তীব্রতার ব্যবধান প্রশিক্ষণ এর সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোন মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। দিনে অন্তত 30 মিনিট ব্যায়াম করা দরকার। এছাড়াও নিয়মিত ঘুমানো একটি উপকারী মাধ্যম হতে পারে, তাই সাত আট ঘন্টা ঘুমানো প্রত্যেকটি সুস্থ মানুষের দরকার।

অতিরিক্ত টেনশন থেকেও এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়, তাই অতিরিক্ত টেনশন থেকে আমাদের নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। অযথা অতিরিক্ত টেনশন করা যাবেনা, টেনশন মুক্ত থাকতে অন্যান্য উপায় খুঁজে বেড়াতে হবে যেমন নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে এবং পছন্দনীয় কাজে অনুশীলন করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারের সাথে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করতে হবে। কারণ ক্রনিক ট্রেস উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে যেটা আমাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত টেনশন শরীরের পক্ষে একদমই ভালো নয়।

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো মাল্টিভিটামিনের ঘাটতি। শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন না থাকলে এই হরমোন কমে যেতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু খাবার খেয়ে এই হরমোন বৃদ্ধি করা যেতে পারে। হওয়ার মনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি এবং পুষ্টি গ্রহণ করছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন। আর অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলুন, যিনি আপনাকে কয়েক ধরনের পরীক্ষা দিতে পারে এবং সেই পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে আপনাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারে যাতে আপনি সুস্থ হতে পারেন।

শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের গুরুত্ব অপরিসীম। প্লাস্টিক, কীটনাশক এবং ব্যক্তিগত কিছু কেমিক্যাল জাতীয় ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে জৈব পণ্য, প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ক্রিম এবং কাঁচের পাত্র ব্যবহার করুন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল অ্যালকোহল সেবন থেকে একদমই বিরত থাকুন, কারণ অ্যালকোহল সেবনের মাধ্যমে আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা কমে যেতে পারে। টেরন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাদ্য বাছাই করুন। খাবারে প্রচুর পরিমাণে জিংক আছে এমন খাবার বাছাই করুন যেমন গরুর মাংস, কুমড়ার বীজ, ঝিনুক ইত্যাদি।

টেস্টোস্টেরন পরীক্ষার জন্য পদ্ধতি

টেস্টোস্টেরন-হরমোন-পরীক্ষার-পদ্ধতি

টেস্টোস্টেরন পরীক্ষার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। একজন ডাক্তার শারীরিক অবস্থা বুঝে এই পরীক্ষাগুলো দিয়ে থাকে এবং আপনার কোন চিকিৎসার ইতিহাস আছে কিনা বা আপনি কোন ওষুধ সেবন করেন কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করে। টেস্টোস্টেরন পরীক্ষাটি অনেক সহজ, একটি ছোট সই ব্যবহার করে শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় সাধারণত এটি করতে কয়েক মিনিট সময় লাগে। আপনি চাইলে ঘরে বসেও এই পরীক্ষা দিতে পারেন কারণ বাজারে এরকম অনেক টেস্টিং কিট পাওয়া যায়, যেখানে মুখের লালা সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষাটি ঘরে বসে করা যায়। তবে এই পরীক্ষাটি কতটুকু সঠিক মাত্রা দেখায় সেটা নিয়ে এখনো সবাই সন্ধিহান। তাই পরীক্ষাগারে এসেই পরীক্ষা করাটা ভালো।
আরো পড়ুনঃ

লেখক এর মন্তব্যঃ টেস্টোস্টেরন টেস্টের উপকারিতা

টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটি মানুষের এই হরমোন স্বাভাবিক মাত্রায় থাকা অপরিহার্য। টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষা করলে আমাদের অনেক উপকার হয়, কারণ এই পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে কতটুকু হরমোন রয়েছে তা জানতে পারা যায় এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়। তাই এই বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি টেস্টোস্টেরনের হরমোনের ব্যাপারে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি পড়লে পাঠকরা উপকৃত হবেন ইনশা আল্লাহ।




 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url