ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
ড্রাগন ফল একটি উপকারী খাদ্য। ড্রাগন ফল খেতে খুবই সুস্বাদু এবং এর উপকারিতা ও অনেক। ফলের মধ্যে পছন্দের তালিকায় ড্রাগন ফল জায়গা করে নিয়েছে । ড্রাগন ফলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
এছাড়াও ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ অনেক। এই ফলটি পাকলে গোলাপি আকার ধারণ করে। ড্রাগন ফলের ভেতরে কোনটার গোলাপি অংশ থাকে আবার কোন জাতের ড্রাগনের অংশ সাদা থাকে। চলুন ড্রাগন ফল সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করি
পেজ সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ১০টি টিপস
- ড্রাগন ফলের পরিচিতি
- ড্রাগন ফলের প্রকারভেদ
- ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল
- ড্রাগন ফলের অপকারিতা
- ড্রাগন ফল খাওয়ার সাতটি কারণ
- ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- লেখকের মন্তব্য-ওমেগা ৩ এর উৎস ড্রাগন ফল
ড্রাগন ফলের পরিচিতি
ড্রাগন ফল দেখতে অনেকটা ড্রাগনের মতো। ড্রাগন ফলের উদ্ভিতাত্ত্বিক নাম
হায়লসেরিয়াস আনডেটাস। ড্রাগন ফল উৎপত্তি হয় মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায়।
এই ফল সব জায়গায় ড্রাগন ফল নামেই পরিচিত এই ফল খেতে খুব সুস্বাদু
এবং মিষ্টি। ড্রাগন ফল দেখতে গোলাপি রঙের। ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে অনেকটা
ক্যাকটাস গাছের মত এবং এটি ক্যাকটাসের মতোই বৃদ্ধি পায় এটা মূলত গ্রীষ্মকালীন
অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। ভিয়েতনামের জাতীয় ফলের নাম হচ্ছে ড্রাগন ফল, এই
কারণে ভিয়েতনামে প্রচুর পরিমাণে ড্রাগনের চাষ করে। এই ফলটি বিভিন্ন রঙের হয়ে
থাকে এবং আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময়ই লাল রঙের গুলো দেখা যায়।
ড্রাগন ফলের ভেতরের অংশ সাদা, যা চামচ দিয়ে খাওয়া যায় এবং এর ভেতরে ছোট
ছোট তিলের বীজ ছিটিয়ে থাকে, দেখে মনে হয় তিল ছড়ানো আছে। এই ফল অনেক রসালো
হয়ে থাকে, যা দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। ড্রাগন ফল আমাদের শরীর
সুস্থ রাখতে অনেকটাই সহায়তা করে। দেশে বিদেশে এই ফলের কদর বেড়ে গেছে। এমনকি
আমাদের দেশেও এই ফলের চাষ করছে মানুষ এবং লাভবান হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। তবে সব
ফলেরই উপকারিতা এবং অপকারিতা দুইটি বৈশিষ্ট্যই রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
ড্রাগন ফলের প্রকারভেদ
ড্রাগন ফলের কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে। এই ফলটি পিটায়া নামে পরিচিত। ড্রাগন
ফলের প্রকারভেদ নিয়ে নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
- গোলাপি ড্রাগন ফলঃ গোলাপী ড্রাগন ফল দেখতে অনেক সুন্দর, এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। গোলাপি ড্রাগন ফাইবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। গোলাপি ড্রাগন হজমে সহায়তা করে।
- বেগুনি ড্রাগন ফলঃ বেগুনি ড্রাগন ফল দেখতে ঠান্ডা এবং মিষ্টি স্বাদের। এই ড্রাগন ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বেগুনি ড্রাগন ফল শরীরের খারাপ জীবাণুরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- লাল ড্রাগন ফলঃ এই ফলটি দেখতে উজ্জ্বল লাল বর্ণের। এতে রয়েছে লাইকুপেন নামক কিছু, এজন্য এটি খেলে হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
- হলুদ ড্রাগন ফলঃ হলুদ ড্রাগন ফলটি গ্রীষ্মকালীন সময়ে হয়ে থাকে। এটিও খেতে খুব সুস্বাদু। হলুদ ড্রাগন ফল টিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করতে সহায়তা করে।
ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
ড্রাগন ফলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি মাইক্রো
নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। চলুন ড্রাগন ফলের কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা
সম্পর্কে জানি
- রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণঃ ড্রাগন ফলে তুলনামূলক শর্করার পরিমাণ কম থাকায় এবং চিনির পরিমাণ কম থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রার স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ ড্রাগন ফল রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সহায়তা করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যার কারণে আমরা হৃদরোগের অসুখ থেকে রক্ষা পাই। যারা প্রতিদিন ড্রাগন ফল খায় তাদের কোলেস্টরেল মাত্রা ৯.৪% কমেছে।
- ওজন কমাতেঃ ড্রাগন ফল ওজন কমাতেও অনেকটাই সাহায্য করে। একটি ড্রাগন ফল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে কারণ এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের মেটাবলিজম বিক্রি করে যার কারণে আমাদের ওজন কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেঃ এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগে ভুগছেন, তারা যদি প্রতিদিন ড্রাগন ফল খান তাহলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। কারণ এটি বজ্র দূরীকরণে খুব সহায়তা করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ ড্রাগন ফল ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য লড়াই করে কারণ এই ফলটিতে ক্যারোটির নামে একটি উপাদান রয়েছে যা শরীরে থাকা টিউমারকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ড্রাগন ফলের অনেক ভূমিকা রয়েছে। কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। তাই প্রতিদিন ড্রাগন ফল খেলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই ফলে বেশি পরিমাণ আশ থাকায় শর্করার পরিমাণ কম থাকে, যা ডা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো। এমনকি গর্ভবতী মায়েদের জন্য ড্রাগন ফল খুবই উপকারী।
- সঠিকভাবে রক্ত চলাচল বজায় রাখতেঃ পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ আয়রনের ঘাটতিতে ভোগেন, বিশেষ করে নারীরা এই আয়রনের ঘাটতিতে ভোগেন। এর জন্য ড্রাগন ফল হলো আয়রনের একটি বড় উৎস। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ১.৯ গ্রাম আয়রন থাকে। হিমোগ্লোবিন বাড়াতে আইরনের খুব প্রয়োজন, যা শরীরে টিস্যুতে অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে।
- চুল পড়া বন্ধ করেঃ চুল পড়া বন্ধ করতে ড্রাগনের ভূমিকা অপরিসীম। এখন মানুষের কমন সমস্যা হলো চুল পড়া। শরীলে আয়রনের ঘাটতি থাকলেও চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে চুল পড়া রোধে অনেকটাই সাহায্য করে।
- ত্বক টানটান রাখতেঃ ড্রাগন ফল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী, এমনকি ড্রাগন ফলের খোসা দিয়েও রূপচর্চা করা যায়। ড্রাগন ফল খেলে বয়সের ছাপ দূর হয় এবং ত্বক টানটান রাখতে সহযোগিতা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল
ড্রাগন ফল একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। যেটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই
উপকারী। ড্রাগন ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্নভাবে শরীরে কাজ করে।
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, যা মানুষের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
এবং কার্যকারিতার সাথে জড়িত। এছাড়াও এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি থেকে
রক্ষা করে। আর ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে
লড়াই করে। বিভিন্ন পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে জানা যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের ভেতরের লাল অংশে পাওয়া যায় ভালো কোলেস্টরেল(HDL), যেটা আমাদের
শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রক্তে খারাপ কোলেস্টরেল(LDL) কমাতে বা এর বিরুদ্ধে
লড়াই করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফলমূলের মধ্যে ড্রাগন
ফলও রাখা উচিত। ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন খারাপ
জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফলের যেমন অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে তেমনি এই ফলের অনেক অপকারিতাও
রয়েছে। কারণ আমরা জানি প্রত্যেকটা জিনিসের উপকার অপকার দুইটি রয়েছে। সবাই
ড্রাগন ফল খেলে যে উপকার পাবে এমন না অনেকের শরীর বুঝে ড্রাগন ফল
খাওয়া উচিত। চলুন ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো জেনে নিই
- যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে বা এরকম কোন ইতিহাস রয়েছে তাদের ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
- যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ড্রাগন ফল বুঝে শুনে খাওয়া উচিত কারণ এটি কিছু ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া তৈরি করে।
- ড্রাগন ফলে ফাইবার থাকায় এটিতে রেচক হিসেবে কাজ করে, যার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য উপকারী হলেও বেশি পরিমাণ খাওয়ার জন্য এটি রেচক এর মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে পাতলা পায়খানার সৃষ্টি করতে পারে।
- ড্রাগন ফল অনেক সময় হজমেও ব্যাঘাত ঘটায় কারণ এটিতে রয়েছে উচ্চ ফাইবার। ফাইবার থাকার কারণে অনেকের হজমে অসুবিধা, পেটব্যথা হতে পারে।
- ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যা গুরুতর অভাবেও লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। যাদের অ্যালার্জি এর ইতিহাস রয়েছে তারা ড্রাগন খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সাতটি কারণ
বিদেশে আগে ড্রাগন ফলের চাষ হতো কিন্তু বর্তমান যুগে বাংলাদেশেও ড্রাগন ফল চাষ
হয় বাণিজ্যিকভাবে। আর সেই কারণে দেশে এখন প্রচুর পরিমাণে ড্রাগন ফল পাওয়া
যায়। কিন্তু এই ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। ড্রাগন ফল
কেন খাবেন তার সাতটি কারণ নিম্নে দেওয়া হলো-
- ড্রাগন ফল ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
- লাইক অপেন নামে উপাদান থাকায় ক্যান্সার প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে
- ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এছাড়াও এটি ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- ড্রাগন ফলে আয়রন থাকায় রক্তিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, এজন্য এটি গর্ভবতী মহিলা কিশোরী এবং প্রসূতি মায়ের জন্য খুবই উপকারী।
- ড্রাগনেপ্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন এবং জলীয় অংশ থাকায় এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- ড্রাগন ফলে আঁশ থাকায় রক্তের চর্বি কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং হজমে সহায়তা করে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফলের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের খোসার ও উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফলের
ঘষাতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে তাই ড্রাগন ফল এর খোসা ফেলে না দিয়ে এটি আমরা
কাজে লাগাতে পারি। ফলের বিষয়ে রয়েছে সাইবার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য উপাদান যা
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। অনেকেই আছেন রূপচর্চা করতে কেমিক্যাল জাতীয়
ক্রিম ব্যবহার করে যা ত্বকের জন্য হানিকর। কিন্তু ড্রাগন ফলের খোসার মধ্যে
রূপচর্চার এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার জন্য এই খোসা দিয়ে রূপচর্চা করলে ত্বকের
বিভিন্ন দাগ দূর করতে সহায়তা করে।
ড্রাগন ফলের খোসা ব্লেন্ড করে মুখে লাগালে ত্বক টানটান হয় এবং ত্বকের বলিরেখা
দূর হয়। এছাড়াও ড্রাগন ফলের খোসায় অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা জানলে আপনি অবাক
হয়ে যাবেন। ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি,
ভিটামিন কে, ভিটামিন বি সিক্স, প্রোটিন, থায়ামিন, গ্লোটামিন, পটাশিয়াম,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ইত্যাদি যা আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী
ভূমিকা পালন করে। তাই ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে না দিয়ে এটিকে কাজে লাগান উপকারে
আসবে।
আরো পড়ুনঃবাদামের প্রকারভেদ ও তথ্যসমূহ
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ড্রাগন ফল একটি উপকারী ফল হিসেবে গণ্য হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া জরুরী কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং
ফাইবারের বড় উৎস যা গর্ভবতী মা ও অনাগত সন্তানের জন্য উপকারী। অনেক গর্ভবতী
মহিলারা ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে এখনো অজানা, তাদের জন্য বলছি
গর্ভাবস্থার ড্রাগন ফল খান এবং পরিপূর্ণ পুষ্টি পান। ড্রাগন ফল খেলে গর্ভবতী
মহিলার শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ে এবং গর্ভাবস্থায় হওয়া ডায়াবেটিসের ঝুকি
কমায়।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গর্ভবতী মহিলাদের ড্রাগন ফল রাখা জরুরি।
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ড্রাগন ফল হজমেও সহযোগিতা করে।
এছাড়াও ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যা গর্ভবতী মায়েদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমানে আমাদের দেশের ড্রাগন ফলের
চাহিদা বেড়েই চলেছে। কারণ এখনকার মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ায় ড্রাগন
ফল সম্পর্কেও ধারণা রাখে। ড্রাগন ফল খেলে গর্ভে থাকা শিশুর হাড়ের বিকাশ ঘটে
কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম
এবং ম্যাগনেসিয়াম। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতেও ড্রাগন
ফলের জুরি নেই।
বাচ্চার জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা
বাচ্চার জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা রয়েছে অনেক। কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে অনেক
ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান। যা খেলে বাচ্চাদের হাড়ের গঠন হয়
এবং বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং আয়রন
বাচ্চার শরীরে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে। তবে একদম ছোট বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফল
খাওয়ানো যাবে না কারণ এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। বাচ্চার বয়স যখন এক
বছর পূর্ণ হবে তখন আস্তে আস্তে ড্রাগন ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। ফল একটি
পুষ্টিকর খাদ্য, যা শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানো উচিত। অনেক বাচ্চা আছে যাদের রক্তস্বল্পতা
রয়েছে, তাদের জন্য ড্রাগন ফল হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। নিয়মিত ড্রাগন ফল
খাওয়ালে রক্তস্বল্পতা কমানো সম্ভব।
লেখক এর মন্তব্যঃ ওমেগা থ্রি এর উৎস ড্রাগন ফল
আমি এই আর্টিকেলটিতে ড্রাগন ফলের উপকার ও অপকার সম্পর্কে অনেকগুলো টিপস দিয়েছি
যা পড়লে আপনাদের অনেকটাই উপকারে আসবে। আমার জানামতে ড্রাগন ফলে আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ উৎস রয়েছে তা হলো ওমেগা থ্রি। আমাদের শরীরের জন্য ওমেগা থ্রি
ফ্যাটি এসিড খুবই উপকারী। এছাড়াও ড্রাগন ফলের নানান উপকারিতা রয়েছে যা
আমি উপরিউক্ত আলোচনায় বলেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ড্রাগন ফল
সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাবেন এবং উপকৃত হবেন।
ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url