ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন ২০২৪

 ডেঙ্গু জ্বর হয় এডিস মশা থেকে, এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস এর বাহক। এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায়। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হল জর, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ২০২৪ সালে তীব্র আকার ধারণ করেছিল।

ডেঙ্গু-জ্বরের-লক্ষন-২০২৪

২০২৪ সালে ডেঙ্গু জ্বরে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের প্লাটিলেট কমে যায়। তবে লক্ষণ বুঝতে পারলে এই বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

পেজ সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং চিকিৎসা ২০২৪ সম্পর্কে যা জানতে পারবো

দ্বিতীয় বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

কোন ব্যক্তির একবার ডেঙ্গু জ্বর হলে যে আরেকবার হবে না এটা ভুল কথা। ডেঙ্গু জ্বর একাধিকবার হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, যদি কেউ দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু তে আক্রান্ত হয় তাহলে সেটি আরো বিপদজনক হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে জ্বরের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং লিভারের ব্যাপক ক্ষতি সম্মুখীন হতে পারে। তবে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে লক্ষণগুলো আগের মতনই থাকে যেমন প্রচুর জ্বর, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া, ফুসকুড়ি এবং চোখের পিছনে ব্যাথা হয়। তবে যদি ডেঙ্গু মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়।
আরো পড়ুনঃ

তখন আরো বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেমন পেটে তীব্র ব্যথা, বারবার বমি, শ্বাসকষ্ট, পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া, শরীর দুর্বল লাগা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কখনো কখনো রোগীর মস্তিষ্ক পর্যন্ত আক্রান্ত করে ফেলে এবং রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং খিচুনি হওয়ার মতন সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ব্যাপক রক্তপাত, ডিহাইড্রেশন এবং অঙ্গ বিকলাঙ্গ হয়ে যাওয়ার মতন গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের ধারণা রাখা উচিত, যাতে বিপদ বেশি হওয়ার আগেই আমরা বুঝতে পারি এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারি।

ডেঙ্গু জ্বরের সাতটি সতর্কীকরণ লক্ষণ

আমরা সবাই ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জানি কিন্তু অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণের থেকেও বেশি লক্ষণ দেখা যায় এরকম হলে আমাদের সতর্ক হতে হবে। নিম্নে ডেঙ্গু জ্বরের সাতটি সতর্কীকরণ লক্ষণ দেওয়া হলোঃ
  1. তীব্র পেটে ব্যথা হতে পারে এই লক্ষণগুলিতে এটি গুরুতর ডেঙ্গুর সংকেত দিতে পারে
  2. শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যাওয়া এবং তোকে তরল জমে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা দিতে পারে
  3. শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় এবং ক্লান্তি অনুভব হয়
  4. শরীরের পরীক্ষা করার মাধ্যমে লিভারের বৃদ্ধি সনাক্ত করা যায় এই গুরুতর সংক্রমণ হলে।
  5. মানুষের শরীরে যে প্লাটিলের থাকে সেটির মাত্রা অত্যাধিক হারে কমিয়ে দেয় এটিও ডেঙ্গু জ্বরের সতর্কীকরণ বার্তা।
  6. শরীরের ভেতর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে এটিও ডেঙ্গুর সতর্কীকরণ লক্ষণ
  7. সারা শরীরে জয়েন্টে জয়েন্টে অসম্ভব ব্যথা অনুভব হবে এবং সাথে তীব্র জ্বর থাকবে

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস প্রজাতির মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সাধারণত বর্ষাকাল এবং বৃষ্টির মৌসুমে বেশি দেখা যায়। নিম্নে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
  • প্রচুর পরিমাণে জ্বর যেটা ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত
  • তীব্র মাথাব্যথা
  • চোখের পিছনে ব্যথা
  • পেশিও জয়েন্টে ব্যথা
  • বমি বমি ভাব বা বমি
  • ত্বকে লালচে দাগ বা রেশ হওয়া
  • প্রচুর দুর্বল ও ক্লান্তি লাগা
  • শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ যেমন নাক, প্রস্রাবের রক্ত, কালচে মল ইত্যাদি
ডেঙ্গুর কোন নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই তবে লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা যায়। এই সময় রোগীর প্রচুর বিশ্রামের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত যেমন ডাবের পানি, স্যালাইন, ফলের রস ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বরের তেমন কোনো ওষুধ নেই শুধুমাত্র জ্বর হলে বা শরীর ব্যথা করলে প্যারাসিটামল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডাক্তার। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটি সেটি হলো নিয়মিত রক্তের প্লাটিলেট চেক করা যতদিন না প্লাটিলের মাত্রা স্বাভাবিক হয় ততদিন পর্যন্ত এইভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তবে সতর্কবার্তা এই সময় ভুলেও অ্যাসপিরিন, আয়বুপ্রোভেন ব্যবহার করা একবারেই নিষেধ এতে রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

 শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা

শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপেক্ষা কৃত দুর্বল এবং তারা তাদের সমস্যা পরিষ্কারভাবে বলতে পারেনা তাই লক্ষণগুলো বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নিম্নে শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণ লক্ষণ দেয়া হলো
  • হঠাৎ জ্বর
  • অত্যন্ত দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করে
  • বারবার কান্না বা বিরক্তিভাব প্রকাশ করে
  • খাবার না খাওয়া এবং দুধ খেতে না চাওয়া
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • ত্বকে লাল ফুসকুড়ি বের হওয়া
  • নাক বা মুখ থেকে হালকা রক্তপাত
  • মাংসপেশী ও হাড়ে ব্যথা শিশুদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হাঁটাচলা
  • চোখের পিছনে ব্যথা

শিশুদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চিকিৎসা

  • জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল খাওয়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
  • প্রচুর তরল খাবার দিন
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিন
  • প্রতিদিন প্লাটিলেট কাউন্ট ও cbc পরীক্ষা করুন
  • জোর করে খাওয়ানো যাবে না
  • নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না
  • এসপিরিন বা আইবো প্রফেন জাতীয় ঔষধ শিশুকে দেওয়া একবারেই নিষিদ্ধ

ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের জন্য প্রতিকারের উপায় বের করতে হবে। একটু সাবধানতা এবং সচেতনতা অবলম্বন করলেই এই ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। কয়েকটি নিয়মকানুন মেনে চললেই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। চলুন নিম্নে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধের উপায় গুলো জেনে নেই
  • মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করুন
  • সবসময় ফুলহাতা জামা ও প্যান্ট পড়ুন
  • মশার প্রতিরোধক ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন
  • মশা যাতে না জন্মে এজন্য জমে থাকা পানি ফেলে দিন যেমন ডাবের খোসা, টায়ার, ফুলদানি, টব ইত্যাদি
  • পানি ট্যাংক সব সময় ঢেকে রাখুন
  • প্রতি সপ্তাহে একবার জমা পানি পরিষ্কার করুন
  • বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় গুলো পরিষ্কার করুন
  • ঘরের বাইরে এবং ভেতরে মশার ওষুধ ছিটান
  • ছোট বাচ্চাদের শরীরে মশা প্রতিরোধক লোশন মাখিয়ে রাখুন

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার খাবার দাবার। মূলত খাবার-দাবারের উপরে ডিপেন্ড করে তার তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া। এই সময় প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন ডাবের পানি, ফলের রস,সুপ, হলুদ রঙের ফল ইত্যাদি। এই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সবসময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফলের রস খেতে হবে। হলুদ জাতীয় ফল বলতে আমরা বুঝি মালটা, পাকা পেঁপে, কমলা ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে বর্তমান সময়ে পেঁপে দিয়ে তৈরি কিছু সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় সেগুলো খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ

ডেঙ্গু জ্বর হলে পুষ্টিকর খাবার এবং প্রোটিন ও ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। তবে জ্বরের সাথে বমি বা ডায়রিয়া থাকলে শাক সবজি ও দুগ্ধ জাত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। তরল খাবারে ক্যালরি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কম পাওয়া যায় এজন্য তরল খাবারের পাশাপাশি রোগীকে অন্যান্য নরম খাবার দিতে হবে যা সহজে হজম হয় যেমন যাও ভাত, সুজি, নরম কাটা ছাড়া মাছ, সাবুদানা ইত্যাদি। এই সময় রোগীদের মুখের রুচি থাকে না এজন্য বেশিরভাগ খাবার খেতে পারেনা এজন্য অল্প খাবার খেয়ে কিভাবে ক্যালোরি চাহিদা পূরণ করতে হবে সেটির জন্য ক্যালোরিযুক্ত খাবার যোগ করতে হবে যেমন নরম পাতলা খিচুড়ি, পুডিং, ফিরনি, মিল্কশেক, মিষ্টি দই, পায়ে ইত্যাদি

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রোটিনের চাহিদা শরীরে বেড়ে যায়, তাই শরীরে হয় পুরনো তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এই সময় দুধ, ডিম, চর্বিবিহীন মুরগি এবং লাল মাংস খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরের প্লাটিলেটের সংখ্যা ও হিমোগ্লোবিন কমে যায়। তাই এ সময় প্লাতিলেটের চাহিদা পূরণ করার জন্য শরীরে প্রচুর আয়রনের প্রয়োজন হয় তাই এই সময় আয়রন জাতীয় খাবার যেমন কলিজা, ডালিম, ডিম, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, সবুজ শাকসবজি, কিসমিস, বিট জুস ইত্যাদি খেতে হবে তাহলে শরীরে হিমোগ্লোবিন ও প্লাটিলেট বাড়বে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের অনেক সময় জ্বরের সাথে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া দেখা দেয় এবং খাবার হজম না হওয়ার কারণে বমি হয়ে যায় সেই কারণে এই সময় শাক-সবজি, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, ডাল বাদ দিতে হবে। তবে এই সময় কাচা কলার ঝোল খাওয়া যেতে পারে এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আবার আপনি চাইলে মাছ ও মুরগির পাতলা সুপ করে খেতে পারেন। এছাড়াও রাইসুপ, আপেল পিওরী দেওয়া যেতে পারে। রোগীরা চাইলে এই সময় প্রচুর পরিমাণে ডাবের পানি ও স্যালাইন খেতে পারেন তাতে শরীরের ইউট্রোলাইট বজায় থাকে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৪

ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশা থেকে কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ মশাগুলো সাধারণত দিনে কামড়ায় বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যায়। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৪ অনুযায়ী হালনাগাদ তথ্য নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

সাধারণ ডেঙ্গু হবার লক্ষণ

  1. হঠাৎ উচ্চ জ্বর(১০৩-১০৫) ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত
  2. তীব্র মাথাব্যথা
  3. চোখের পেছনে ব্যথা
  4. পেশি ও হাড়ে ব্যথা
  5. ত্বকে রেশ ও ফুসকুড়ি হওয়া
  6. দুর্বলতা অরুচি হওয়া
  7. বমি বমি ভাব হওয়া

জটিল ডেঙ্গু হবার লক্ষণ

  • প্লাটিলেট কমে যাওয়া
  • নাক ও মল থেকে রক্ত পড়া
  • পেট ফুলে যাওয়া এবং তলপেটে ব্যথা করা
  • বারবার বমি হওয়া
  • শ্বাসকষ্ট
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

ডেঙ্গুর প্রতিকার ২০২৪ এর চিকিৎসা অনুযায়ী

ডেঙ্গুর প্রতিকার ২০২৪ অনুযায়ী চিকিৎসকরা যেসব গাইডলাইন দিয়েছেন তার কয়েকটি পরামর্শ নিম্নে দেওয়া হলো
  • শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন
  • স্যালাইন, ডাবের পানি, ফলের রস, লেবু পানি খান
  • জ্বর ও ব্যথার জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল খান
  • রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্লাটিলেট কাউন্ট ও হেমাটোক্রেট নিরীক্ষণ করা
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা
  • জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া

কি কি উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গু টেস্ট করা দরকার

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, এবং অনেক সময় তা সাধারণ জলের মতো শুরু হয়। তবে কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডেঙ্গু টেস্ট করা উচিত, কারণ শুরুতেই রোগ সনাক্ত করলে চিকিৎসা সহজ হয় এবং জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়। তবে কিছু কিছু উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গু টেস্ট করা উচিত যেমন হঠাৎ করে জ্বর ১০১ থেকে ১০৫ ডিগ্রীর মতো হলে, চোখের পেছনে ব্যথা হলে, মাথাব্যথা শরীর ব্যথা হলে, বমি বমি ভাব হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে এবং অত্যাধিক দুর্বল লাগলে ডেঙ্গু টেস্ট করা অতীব প্রয়োজন হয়ে ওঠে। এই সময় কয়েকটি ক্লিনিকালি টেস্ট করা হয় জ্বরের প্রথম পাঁচ দিনে NSI Antigen Test, জ্বরের পাঁচ দিন পর IGM antibody test, প্লাটিলেটের মাত্রা জানতে CBC TEST করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ১০ টি তথ্য জেনে নিন

ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দশটি তথ্য নিম্নে দেওয়া হল যা আপনাকে সচেতন থাকতে সাহায্য করবে
  1. ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে
  2. ডেঙ্গুর বাহক মশা দিনে কামরায় বিশেষ করে সকাল ও বিকেলে বেশি কামড়ায়
  3. ডেঙ্গুতে শরীরের প্লাটিলেট এর মাত্রা হঠাৎ করে নেমে যেতে পারে যা রক্তপাত জনিত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে
  4. ডেঙ্গুর চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক মূলত বিশ্রাম, তরল খাবার ও প্যারাসিটামল ব্যবহারের মাধ্যমে করা হয়
  5. জ্বরের প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে NSI Antigen টেস্টে ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়
  6. রক্তক্ষরণ দেখা দিলে তা মারাত্মক হতে পারে যেমন নাক, মুখ, প্রস্রাব বা মল থেকে রক্ত পড়লে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের লক্ষণ দেখা দিতে পারে যা জীবনঘাতি হতে পারে।
  7. আইবু প্রভেন ও অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ ডেঙ্গু রোগীদের খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
  8. একবার ডেঙ্গু হলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় কিন্তু অন্য ধরনের সংক্রমণ হলে জটিলতা বাড়ে
  9. মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া এবং মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের সেরা উপায়
  10. ১০৩ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর হয় সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা এবং শরীরে ব্যথা দেখা দিতে পারে

লেখকের মন্তব্যঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ২০২৪ ও চিকিৎসা

আজকের এই আর্টিকেলটিতে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা ২০২৪ এর গাইডলাইন অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়েছে। এই গাইডলাইন গুলো আপনারা ফলো করলে অবশ্যই উপকৃত হবেন। আর আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়লে ডেঙ্গু সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারবেন। আমার মতে, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আমাদের সবার সচেতন হওয়া জরুরী, আর এই কারণে ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত এবং এর প্রতিকার বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা উচিত। আমরা যদি সচেতন মূলক ভাবে কাজ করি তাহলে এই ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url