বিটরুট পাউডারের উপকারিতা ও অপকারিতা
বিটরুট পাউডার হলো শক্তিতে ভরপুর একটি অসাধারণ সুপার ফুড। বর্তমান সময়ে বিটরুট পাউডারের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। কারণ বিটরুট পাউডারের উপকারিতা অনেক । অনেক মানুষের পছন্দের তালিকায় এই পাউডারটি জায়গা করে নিয়েছে।
বিটরুট পাউডার হল প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয় এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং শরীরে দেয় প্রাকৃতিক উদ্যোম। পাউডারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে বিটরুট পাউডারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃবিটরুট পাউডারের কিছু কার্যকরী টিপস আলোচনা করা হলো
- বিটরুট খাওয়ার অপকারিতা
- বিট ফলের উপকারিতা
- বিটরুট পাউডারের দাম কত?
- বিটরুট পাউডারের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
- বিট পাউডার দিয়ে রূপচর্চা
- বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও ব্যবহারবিধি
- বিটরুট কি এবং এর পুষ্টি উপাদান
- অতিরিক্ত বিট ফল খেলে কি ক্ষতি হয়
- লেখক এর মন্তব্যঃ বিটরুট পাউডারের গুনাগুন
বিটরুট খাওয়ার অপকারিতা
আসুন আজকে আমরা প্রথমে বিট্রুট খাওয়ার অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। বিটরুট
খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা রয়েছে।
- এলার্জি থাকলেঃ যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের বিট ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। বিট ফল খাওয়ার ফলে ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- রক্তে শর্করা বৃদ্ধি করেঃ অতিরিক্ত পরিমাণে বিট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে, তারা বিট খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে খাওয়া উচিত। তাছাড়া রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
- কিডনিতে পাথর হলেঃ বিদ্রুটে এমন একটি উপাদান রয়েছে যা কিডনিতে পাথর তৈরিতে সাহায্য করে। বিটে অক্সালেট নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা ক্যালসিয়াম অক্সালের পাথরের গঠন কে উৎসাহিত করে। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারা এই বিট ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- গ্যাসের সমস্যা তৈরি করেঃ বিট ফল খেলে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়। এই ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা, বদহজম এমনকি ডায়রিয়া হতে পারে।
- লো প্রেসার হয়ঃ বিটফলে রয়েছে নাইট্রেট যা রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যারা লো প্রেসারে ভোগেন তাদের এই ফল খাওয়া উচিত নয়। তবে যাদের হাইপ্রেশার তারা এই ফল খাওয়া খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ
বিট ফলের উপকারিতা
বিট ফলের উপকারিতা অপরিসীম। বেশ কয়েক বছর আগে এই বিট ফল সম্পর্কে
অনেকেরই অজানা ছিল, তবে বেশ কয়েক বছর থেকে বিটফলের চাহিদা বেড়ে গেছে
মানুষের কাছে। কারণ বিটফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। চলুন আজকে বিটফলের
উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো
- ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ বিটফল এমন একটি সুপার ফুড, যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম সেদ্ধ বিটে রয়েছে ৪৪ ক্যালরি, ০.২ গ্রাম ফ্যাট, ১.৭ গ্রাম প্রোটিন ও ২ গ্রাম ফাইবার। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ কমাতে সাহায্য করে ফলে অতি দ্রুত ওজন কমে যায়।
- শরীরের রোগ বালাই কমায়ঃ বিটফলে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনেক মানুষ রয়েছে ঘনঘন বিভিন্ন রোগবালায় ভোগে, আর এই ছোটখাটো রোগ থেকেই তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ইনফ্লামেটরি যা প্রদনিত রোগ সারাতে সাহায্য করে। নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ এই বিটা লেইনে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী উপাদান। তাই প্রদাহ প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন বিট ফল খান।
- কর্মক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়ঃ যেসব মানুষেরা প্রচুর পরিশ্রম করেন তাদের জন্য বিট ফল আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ বিটে রয়েছে নাইট্রেট যা শরীরের কোষে শক্তি উৎপাদন করতে সাহায্য করে এবং কর্মক্ষমতাও বাড়ে। তাছাড়াও ব্যায়ামের সময় শরীরে অক্সিজেন ব্যবহারের যে প্রক্রিয়া সেটা আরো গতিশীল করে তুলতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ বিটফলে নাইটের থাকার কারণে এটি দেহে ঢুকে নাইট্রিক অক্সাইড এ পরিণত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক ভূমিকা পালন করে, এর ফলে রক্তনালী ঠিকঠাক মতো চলাচল করে। তাই প্রতিনিয়ত হৃদরোগ থেকে বাঁচার জন্য বিট ফল খাওয়ার জরুরী।
- ব্রেন ঠিক রাখেঃ বিট ফল খেলে ব্রেনের অনেক উপকার সাধিত হয়। বিট ফল মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক দুর্বল হতে থাকে তাই নিয়মিত বিট ফল খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে দারুন কার্যকরী হবে।
- পেট সুস্থ সবল রাখেঃ বিটফলের আরো একটি উপকারী গুণ হলো এটি পেটের খাবার হজম ও লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কারণ বিটফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এজন্য এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বিটরুটের রস রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। নিয়মিত বিট খেলে পেট সুস্থ সবল থাকে
বিটরুট পাউডারের দাম কত?
বিটরুট পাউডার এর দাম আমাদের নাগালের মধ্যেই। বর্তমান সময়ে প্রচুর বীট চাষ
হয় এবং সেই বিট ফল প্রক্রিয়াজাত করে গুড়া তৈরি করা হয়। বিভিন্ন অনলাইন
পেজে আজকাল বিট পাউডার বিক্রি হয়। বিভিন্ন অনলাইন পেজে বিভিন্ন রকম দাম উল্লেখ
থাকে নিম্নে এর দাম উল্লেখ করা হলো-
- গ্রাম্য ফুট অনলাইন পেজে এই স্প্রে ড্রাই বিট রুট পাউডার দাম ১ কেজি ২৭১০ টাকা।
- নিউট্রো পিওর বাংলাদেশ অনলাইন পেজে বিট পাউডারের দাম ১০০ গ্রাম ৪৫০ টাকা।
- আরোগ্য পেজে বিট পাউডারের দাম উল্লেখ করা নেই
- Daraz.com এ বিট পাউডারের দাম উল্লেখ নেই তবে এটি অর্গানিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
- কৃষক বাজার পেজে ১০০ গ্রাম বিট রোড পাউডারের দাম ১৫০ টাকা
বিটরুট পাউডারের স্বাস্থ্য উপকারিতা
বিট রুট পাউডারের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না।
বর্তমান সময়ে বিট রুট পাউডারের সম্পর্কে অনেক পজিটিভ ধারণা তৈরি হচ্ছে মানুষের
মধ্যে। বিটরুট পাউডারের অবিশ্বাস্য কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে
- বিট রুট পাউডার লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে
- এই পাউডার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হয় ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে
- বিট রুট পাউডারের রয়েছে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- বিটরুট পাউডার শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে কারণ এটি অক্সিজেন সরবরাহ করতে অনেকটাই সাহায্য করে।
- বিট রুট পাউডার এ রয়েছে নাইট্রেট অ্যাসিড যা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
বিটরুট কে সুপার ফুড বলার আরেকটি কারণ হলো এটি মেয়েদের গর্ভাবস্থায়
খুবই উপকারী। প্রথমে বলি দিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা গর্ভ অবস্থায়
অ্যানিমিয়া ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং শরীরের লোহিত রক্ত
কণিকা বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে ক্যালসিয়ামের
পরিমাণ বাড়ার জন্য বিট ফলের ভূমিকা অপরিসীম। এটি শরীরে হাড় ও
দাঁতকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় বিট ফল রক্তচাপ এর মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও বিটে রয়েছে বিটের নামক এক প্রকার প্রদাহ বিরোধী এজেন্ট যা
গর্ভাবস্থায় জয়েন্ট বা সন্ধিগুলোতে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ
করে। বিট রুট কম গ্লাইকোসিমিয়া যুক্ত খাদ্য হয় এটি গ্লুকোজের
রূপান্তরিত করে এবং রক্তের মধ্যে শোষিত হতে বেশি সময় নেয় না যার দরুন রক্তে
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিটফলে রয়েছে প্রচুর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা গর্ভাবস্থায় শরীরের সংক্রমণ গুলি থেকে রক্ষা করে। তাই
গর্ভবতী থাকাকালীন বিটফলের জুস বা বিট ফল দিয়ে তৈরি রান্না করে
খেতে পারেন । এছাড়াও বিটফল সালাদ করেও খাওয়া যায়।
বিট পাউডার দিয়ে রূপচর্চা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি সঠিক রূপচর্চা প্রয়োজন।
প্রাকৃতিকভাবে রূপচর্চা করতে চাইলে বিট পাউডারের জুড়ি নেই। আজকাল রূপচর্চায়
বিটপাউডারের ব্যবহার বেড়ে গেছে। আজকাল বিভিন্ন পলিউশনের কারণে আমাদের ত্বক
নিষ্প্রাণ নিরুজ্জ্বল হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে চোখের নিচে
কালি পড়ে যায়। এসব থেকে রক্ষা পেতে বিট পাউডারের উপকারিতা অনেক। উজ্জ্বল
ত্বক পেতে বিটরুট টুকরো করে কেটে মুখে এবং ঘাড়ে ঘষে তারপর 15 মিনিট
অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে উজ্জ্বল গোলাপী ত্বক পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত
এটি করলে উপকার পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ
আমাদের অনেকেরই চোখের ডার্ক সার্কেল পড়ে এটি দূর করতে মেশাবেন তারপর নরম
কটন বাড দিয়ে মিশ্রণটি চোখের চারপাশে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আস্তে আস্তে চোখের ডার্ক সার্কেল কমে যাবে। এছাড়াও
বিটরুটের রস ঠোঁটে লাগালে এবং এর সাথে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষলে ঠোঁটের মরা
চামড়া দূর হয় এবং ঠোঁট হয় গোলাপি আভা সমৃদ্ধ। বিট রুট পাউডার চুলের জন্য
অনেক উপকারী এই পাউডারের সাথে কফি মিশিয়ে একটি নরম পেস্ট তৈরি করে চুলের
গোড়ায় লাগালে চুল পড়া প্রতিরোধ করে এবং এটি কন্ডিশনার হিসেবে ভালো কাজ করে।
বিটফলের রস খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এজন্য বিট ফলের রস ও নিমের পানি মিশিয়ে
মাথায় লাগানোর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হয় এবং চুল মসৃণ
ও ঝলমলে হয়। এছাড়াও বিটফলের রস বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এজন্য
বিটফলের রসের সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে মুখে মাস্কের মতন
ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে ১-২ দিন এটি ব্যবহারে আপনার বলিরেখা দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও বিটফলের রস ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে বিট রসের সাথে টমেটোর রস মিশিয়ে
একটি প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এরপর পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন এটি ব্রণ দূরের পাশাপাশি ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেড দূর
করতে সাহায্য করে।
বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও ব্যবহারবিধি
বিট্রুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম হলো দিনে অন্তত এক থেকে দুই
চামচ বিটরুট খাওয়া নিরাপদ। তবে সকালে বা ব্যায়ামের আগে খেলে বেশি
উপকার পাওয়া যায়। দৈনন্দিন ডায়েটে বিট রুট পাউডার যোগ করতে পারেন। বিট রুট
পাউডার সাধারণত শুকনো এবং ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হয়, এটি এয়ার টাইট
বক্সে বা কৌটায় সংরক্ষণ করলে অনেক দিন যাবত ভালো থাকে এবং রং বজায় থাকে।
এজন্য প্রতিটি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের বিটরুট পাউডার দিয়ে জুস বানিয়ে খাওয়া
উচিত। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিট রাখা ভালো।
ব্যবহারবিধিঃ বিটরুট পাউডার বিভিন্নভাবে খাওয়া সম্ভব। এটি কখনো কখনো সুপ
সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। এছাড়াও এটি জুস করে এবং স্মদী বানিয়ে খাওয়া যায়।
বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশেও এই পাউডারটি খাওয়া যায়। এই পাউডারটি খাওয়ার
ফলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার সাধিত হয়। এটি শরীরে প্রাকৃতিক শক্তি ও পুষ্টি
যোগাতে সাহায্য করে। সুতরাং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে বিট রুট পাউডার আপনার
দৈনন্দিন ডায়েটের যোগ করা অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন বিট ফল খাওয়ার মাধ্যমেও
শরীরের অনেক উপকার সাধিত হয়।
বিটরুট কি এবং এর পুষ্টি উপাদান
বিট রুট কে আমরা সুপার ফুড হিসেবে আখ্যায়িত করি। বর্তমান সময়ে বিট রুটের
চাহিদা অনেক বেশি। এটি মূলত শীতকালে সবজি হিসেবে গণ্য করা হয়, বর্তমান
বাজারে এই সবজিটির ব্যাপক চাহিদা এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিটরুট এমন একটি
সবজি যা নানান উপায়ে শরীরের উপকার করে থাকে, তবে যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা
আছে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর। বিটরুট দেখতে অনেকটা শালগমের মতো এটি ভেতরে টকটকে
লাল বর্ণের এবং এর পাতা সবুজ বর্ণের। এর পাতাও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বর্তমান সময়ে বিটরুটের চাহিদা বেড়েই চলেছে, দেশে-বিদেশে এই ফলের চাষ হচ্ছে।
বিট রুটের পুষ্টি উপাদানঃবিট রুটে রয়েছে নানান ধরনের পুষ্টি উপাদান। এ
প্রধান উপাদান হল ভিটামিন ও খনিজ। বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,
আয়োডিন, জিঙ্ক, মেঙ্গানিজ, ফুলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন
সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই বিট ফলটি প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর তাই
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ফলটি রাখা উচিত। এই বিট কাঁচা এবং রান্না
দুইভাবে খাওয়া যায়, তবে কাঁচা খেলে এর উপকার বেশি হয়। এটি রান্না করলেও এর
স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যায়, এটি বিভিন্ন সবজির সাথে যোগ করে রান্না করা হয়।
অতিরিক্ত বিট ফল খেলে কি ক্ষতি হয়
অতিরিক্ত বিট ফল খেলে এর উপকারের বদলে অনেকের অপকারও হয়ে থাকে। এজন্য এই ফল
খাওয়ার আগে এর মাত্রা বুঝে খাওয়া উচিত। যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের এই
ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো, কারণ এই ফল কিডনিতে পাথর তৈরি করতে সাহায্য
করে যা আমাদের জন্য মোটেও সুখকর নয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিট রাখা ভালো
কিন্তু এটি কখনোই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। আমরা অনেকেই আছি অতিরিক্ত ভালো
কিছুর আশায় কোন খাবার কতটুকু খেতে হবে তা পরিমাপ না করে খেয়ে ফেলি যার
জন্য এটি উপকারের বদলে তখন ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও
যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের এই ফল খাওয়া হতে সাবধান থাকতে হবে কারণ
এটি শরীরের রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ
লেখক এর মন্তব্যঃ বিটরুট পাউডারের গুনাগুন
আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিট রুট পাউডারের উপকার ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা
দেওয়া হয়েছে। বিট রুট পাউডার শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য। আমার মতে
বিটরুট পাউডার প্রত্যেকটি মানুষের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত, কারণ এর পুষ্টিগুণ
অনেকটাই শরীরের জন্য উপকারী। এই বিট ফল কাঁচা এবং রান্না দুটোই ভাবে খাওয়া
যায়। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি অনেক উপকৃত হবেন এবং বিটফলের
গুনাগুন সম্পর্কেও জানবেন।
ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url