গ্লোয়িং স্কিন পেতে কি কি করণীয়?

 গ্লোয়িং স্কিন কে না পছন্দ করে বলুন তো।বিশেষ করে মেয়েরা গ্লো স্কিন বা হেলথি স্কিন বেশি পছন্দ করে। কিন্তু আমাদের এই দূষিত পরিবেশে স্কিন সুন্দর রাখাটা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।তাই এই সুন্দর স্কিন পেতে চাইলে কিছু যত্ন করতে হয়।

গ্লোয়িং-স্কিন-পেতে-করনীয়

আর এই যত্ন কিভাবে নিবো তা সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো। সুন্দরী স্কিন পেতে গেলে অনেক ধরনের নিয়ম-কানুন মানতে হয়। তাই নিয়মিত রুপচর্চা করা উচিত।

পেজ সূচিপত্রঃ গ্লোয়িং স্কিন পেতে আমরা যেগুলো  করতে পারি 


সুন্দর স্কিন পেতে হলুদের ব্যবহার 

সুন্দর স্কিন পেতে আদিকাল থেকে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে, আমরা কমবেশি সবাই হলুদ চিনি। হলুদ রান্নায় ব্যবহৃত হয়। রূপচর্চায় আমরা কাঁচা হলুদ বেশি ব্যবহার করে থাকি মেয়েদের রূপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে চলুন জেনে নেওয়া যাক হলুদের কিছু ব্যবহার যা সুন্দর স্কিন পেতে সাহায্য করবে। 
 ত্বকের ব্রণ দুর করতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার।ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলুদ অনেক উপকারী। এছাড়াও বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে হলুদ ব্যবহার হয়।নিচে হলুদের কিছু ফেসপ্যাক উল্লেখ করা হলো।

ব্রন কমাতে হলুদের প্যাক- 

কাঁচা হলুদ ২ টেবিল চামচ,বেসন ১ টেবিল চামচ,১ টেবিল চামচ মধু  এগুলোর সাথে পানি মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১০-১৫ মিনিট এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।এভাবে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে মুখে ব্রণ কমে যাবে।

উজ্জলতা বাড়াতে হলুদের প্যাক- 

অনেক সময় আমাদের মুখ খুবই ক্লান্ত এবং নিরজ্জল দেখায়, এই উজ্জ্বলতাকে ফিরিয়ে আনার জন্য হলুদের জুড়ি মেলা ভার । ২ টেবিল চামচ ময়দা এক টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া এর সাথে এক টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে এরপর এটা মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ফলো করলে আমরা উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারি। 

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে- 

আমাদের চোখের নিচে কালো দাগ হয়।সেটা দূর করতে দুই চামচ টক দই, এক চামচ ময়দার গুড়া আর হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চোখের নিচের কালো অংশে লাগাবো এছাড়াও হাত বা কোনই ,ঘাড় এগুলোকে এই ব্যক্তি লাগানো যায় তারপর 10 থেকে 15 মিনিট অপেক্ষা করব তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিব। সপ্তাহে দুই দিন এটা ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে।

চন্দন দিয়ে রূপচর্চা 

সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে চন্দনের ব্যবহার অপরিহার্য। চন্দনের অনেক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। চলুন জেনে নিই চন্দনের কিছু গুনাগুন সম্পর্কে, চন্দন বলিরেখা দূর করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, রোদে পোড়া ভাব দূর করে, চোখের নিচে কালো দাগ দূর করে। 

চন্দন বলিরেখা দূর করে-

চন্দনের প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। চন্দন এনটিএইজিং এর কাজ করে । চন্দন মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যার দরুন চন্দন আমাদের মুখের বলিরেখা দূর করতে অনেকটাই সাহায্য করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে-

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের ভূমিকা অনেক। দুই চামচ চন্দনের গুড়া হলুদ গুড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে হবে তারপর এটি মুখে 10 থেকে 15 মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে।

রোদে পোড়া ভাব দূর করতে-

চন্দনের গুড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে মুখ ঘাড় গলায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে মাঝে মাঝে করলে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে। 

হাইড্রা ফেসিয়াল

বর্তমান সময়ে হাইড্রা ফেসিয়াল এর ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। গ্লোয়িং কিং পাবার জন্য হাইড্রা ফেসিয়াল এর ভূমিকা  অপরিসীম। হাইড্রা ফেসিয়াল এর মাধ্যমে ভিতর থেকে ত্বক পরিষ্কার করে, ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। হাইড্রা ফেসিয়ালের কিছু উপকারিতা নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
  1. ত্বকের রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে
  2. ত্বকের ছিদ্রের আকার সংকুচিত করতে সাহায্য করে
  3. হাইপার পিগমেন্টেশন হ্রাস করে
  4. ত্বকের বলিরেখা দূর করে
  5. ত্বকে কোলাজিন বৃদ্ধি করে
  6. ত্বকের অয়েলি ভাব কমায়
ত্বকের অনেক উপকারিতার জন্য হাইড্রা ফেসিয়াল এর ব্যবহার বেড়ে গেছে এবং এর জনপ্রিয়তা এখন অনেক শীর্ষে।

স্কিনের দৈনন্দিন কিছু যত্নের টিপস 

দৈনন্দিন জীবনে কিছু শেয়ার করব যেটা আপনাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী এবং আপনাদের স্কিন ভালো রাখতে আমাদের প্রতিনিয়ত অনেক যত্নের প্রয়োজন। এই যত্নের মাধ্যমে ত্বকের অনেক উপকার পাওয়া যায় এবং ত্বকের অনেক উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্য বজায় থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক টিপস গুলোঃ
  1. স্বাস্থ্যকর খাবার খান 
  2. নিয়মিত পানি খান
  3. প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
  4. সপ্তাহে দুবার ক্রাব করুন
  5. নিয়মিত আট ঘন্টা ঘুমান
  6. মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন

গ্লোয়িং স্কিন পেতে সঠিক প্রোডাক্টের ব্যবহার 

গ্লোয়িংস্কিন পেতে সঠিক প্রোডাক্ট এর ব্যবহার করা জরুরী। স্কিন ভালো রাখতে সঠিক প্রোডাক্ট ব্যবহার না করলে আমাদের ত্বকের বড় রকমের ক্ষতি হতে পারে। এই জন্য দেখে শুনে প্রোডাক্ট ব্যাবহার করা দরকার। অনেকে রাতারাতি স্কিন ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন বাজে উপাদান দিয়ে তৈরি কিছু সস্তা ক্রিম মেখে ত্বকের বারোটা বাজিয়ে ফেলে।
 স্কিন এর জন্য সবচেয়ে জরুরি কিছু প্রোডাক্ট হল , ভাল মানের ফেসওয়াশ, মশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন , আর ভালো মানের নাইট ক্রিম ইউজ করতে হবে। সঠিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে সব সময় ভালো থাকে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে।
সুতরাং ত্বক এর যত্নের ক্ষেত্রে সঠিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করা আমাদের খুবই জরুরী ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহারের জন্য আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই এসব বিষয়ে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত। 

স্কিন ফর্সা করতে মানুষের ভুল কিছু অপচেষ্টা

স্কিন ফর্সা করতে মানুষ অনেক ভুলভাল কাজ করে থাকে যেটা তাদের স্ক্রিনের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্কিন ফর্সা করার জন্য অনেক মানুষ অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকে ,এমন কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করে যেটার গুণগত মান ভালো না তারা না জেনেই তাদের ত্বকের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলে ।
 
অনেকেই রাতারাতি ফর্সা হওয়ার জন্য কিছু কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকে যার দরুন ত্বকের অনেক বড় ক্ষতি হয় এবং ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। আসুন আমরা প্রোডাক্ট এর গুনগত মান জাচাই করে প্রসাধনি ব্যবহার করি।

আসুন আমরা ত্বকের ব্যাপারে যত্নশীল হই। আজেবাজে জিনিস ব্যবহার না করে বুঝে শুনে ভালো মানের জিনিস ব্যবহার করে আমাদের ত্বক কে ভালো রাখে। মানুষের একটি সামান্য ভুলের কারণে অনেক বড় রকম ক্ষতি হয়ে যায় এবং পরে আর কিছু করার থাকে না তাই আমরা এ বিষয়ে সচেতন হই।

ত্বক ফর্সা হয় কোন কোন ফল খেলে

আমাদের দেশে অনেক ফল রয়েছে যেগুলো ত্বককে ফর্সা করতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। এই ফলে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভালো রাখে এবং প্রাণ উজ্জ্বল করে। তবে ফল রাতারাতি খেলেই যে মানুষ ফর্সা হয়ে যাবে এমনটা না। চলুন জেনে নেই ত্বক ফর্সা করতে কোন কোন ফল কিভাবে উপকার করে আমাদের ত্বকের-
  1. ত্বক ফর্সা করতে লেবুর ভূমিকা অপরিহার্য লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বককে পরিষ্কার ও দাগ মুক্ত করে
  2. কলা ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এ এবং ই। যা ত্বককে উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ময়শ্চারাইজেশন করতে সাহায্য করে।
  3. আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ,সি , ই। কলা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল যা ত্বকের বলী রেখা কমায় এবং রেডিকেল থেকে রক্ষা করে।
  4. ত্বক উজ্জ্বলকারী আরেকটি ফল হল পেঁপে পেপেতে প্রচুর পরিমাণ পাবেন নামক এনজাইম রয়েছে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে মসৃণ করে।

সকালে খালি পেটে কি কি খেলে ত্বক ফর্সা হয়

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করলে ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। কারণ এই পানীয় আমাদের দেহকে ডিটক্সিফাইড করে। এছাড়াও আরো অনেক পানিও আছে যেগুলো নিয়ে আমরা নিজে বিস্তারিত আলোচনা করব-
কিসমিসের পানি-
রাতের বেলা কয়েকটি কিসমিস এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই কিসমিস ভেজানো পানি খেলে ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বক পরিষ্কার থাকে।
ডাবের পানি- 
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ যা আমাদের ত্বককে মশ্চারাইজার করে। প্রতিনিয়ত ডাবের পানি খেলে ভিতর থেকে পরিষ্কার হয় এবং উজ্জ্বলতা বাড়ে।
সবজি ও ফল- 
ত্বক ভালো রাখতে সবজি ও ফলের ভূমিকা অপরিসীম। সবজি এবং ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি , ই। এই ফল সবজিতে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই কারণে এগুলো নিয়মিত খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বক সতেজ থাকে।
মধু ও লেবুর রস- 
হালকা গরম জলে এক গ্লাস পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিনিয়ত খেতে পারলে শরীরের অনেক উপকার হয়। এটা শরীর থেকে টক্সিক দূর করতে সাহায্য করে আর ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে।

পুরো শরীর ফর্সা করার উপায়

আমরা প্রত্যেকে তো ত্বকের যত্ন খুব নেই এবং চিন্তা করি কিভাবে আমাদের মুখমণ্ডল ফর্সা থাকে কিন্তু আমরা একবারও ভাবি না আমাদের পুরো শরীরটা যদি ফর্সা না হয় তাহলে মুখের সাথে বেমানান লাগে। তাই পুরো শরীর ফর্সা করার  উপায় নিজে বর্ণনা করা হলো-
  1. প্রথমে একটি বাটিতে মধু দুই চামচ , গোলাপজল এক চামচ, লেবুর রস তিন চা চামচ এগুলো একসাথে মিক্সড করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
  2. এরপরে এই বানানো পেস্টটি সম্পূর্ণ শরীরে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।
  3. এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে পুরো শরীর কালো থেকে ফর্সা হয়ে যাবে।

প্রাকৃতিক ভাবে স্কিন ফর্সা করার উপায়

আমাদের দেশের মেয়েরা প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হবার বিভিন্ন ফর্মুলা প্রয়োগ করে।চলুন জেনে নেই কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়া যায়-
  1. লেবু প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জিং হিসেবে ব্যবহার হয় ।
  2. সকালে ও রাতে একটি ভালো ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ পরিস্কার করতে হবে
  3. ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
  4. সপ্তাহে এক থেকে দুইবার চিনি আর লেবু দিয়ে ত্বক হালকা করে ঘষলে ত্বক পরিষ্কার হয় ডেট সেল রিমুভ হয় । 

উপসংহার

আশা করি আমার বানানো আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি কিন ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় থেকে শুরু করে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হয় তা বিস্তারিত আলোচনা করতে পেরেছি। আশা করি আপনারা এগুলো করলে ত্বকের যত্ন সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাবেন এবং উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ। 

  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url