সকালে কি খাবার খেলে ওজন বাড়ে

 আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরী।আমাদের বিশ্বে বিভিন্ন মানুষের গঠন বিভিন্ন রকম সেই অনুপাতে কেউ চায় ওজন বাড়াতে আবার কেউ চায় ওজন কমাতে।


সকালে-কি-খেলে-ওজন-বাড়ে

 মূলত আজকে আমাদের আলোচনা হবে সকালে খালি পেটে কিভাবে বা কি খাবার খেলে আমরা ওজন বাড়াতে পারবো। সকালে খালি পেটে স্বাস্থ্যকর ও হালকা খাবার খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো এবং কার্যকরী এতে শরীরে শক্তি জোগাতে সহযোগিতা করে।

পেজ সূচিপত্রঃ খালি পেটে ওজন বাড়ানোর দশটি কার্যকরি টিপস

ওজন বাড়ানোর সহজ ও কার্যকর উপায়

ওজন বাড়ানোর জন্য সহজ ও কিছু কার্যকরী টিপস রয়েছে। যেগুলো ফলো করলে আমরা সহজেই ওজন বাড়াতে পারবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকরী উপায় ।প্রোটিনযুক্ত খাবার খান-ওজন বাড়াতে চাইলে প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম কারণ এটি বেশির গঠন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিচে কয়েকটি খাবারের নাম দেয়া হলো যেগুলো খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে
  • প্রোটিন শেক
  • ডিম সিদ্ধ অথবা ভাজা
  • মুরগির বুকের মাংস
  • পিনাট বাটার
  • ঘন দই
  • ছানা পনির ডাল ,মুগ ডাল, সয়াবিন
প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী প্রতিদিন অন্তত ১.৫ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া দরকার।প্রচুর পানি পান করুন-ওজন বাড়ানোর আরেকটি সহজ উপায় হল পানি। পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু খাবার শুরুতে পানি খাওয়া বা খাওয়ার মাঝখানে পানি খাওয়া ঠিক না খাওয়া দাওয়া ৩০ মিনিট পর পানি খাওয়া শরীরের পক্ষে খুব ভালো।পুষ্টিকর ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খান-ওজন বাড়াতে চাইলে এমন কিছু উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে যেগুলো খেলে আমাদের পুষ্টি গুন ঠিক থাকবে আবার স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজনও বাড়বে। এমন কিছু তো ক্যালরিযুক্ত খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে ওজন বাড়বে যেমন
  1. মাছ, ডিম ,মুরগি ,পনির
  2. কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, বাদাম, কিসমিস
  3. ঘন দুধ, ছানা
  4. ঘি, মাখন, বাদাম তেল
  5. আম, ছোলা, কলা, মিষ্টি আলু
  6. ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, ওটস
  • সারাদিনে ৫-৬ বার খান-আপনি ওজন বাড়াতে চাইলে সারাদিনে অনেকবার খাওয়া দাওয়া করতে হবে কিন্তু সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে। দিনে অন্তত ৫-৬ বার খাবার খেতে হবে। দিনে এই জন্য ছোট ছোট মিল রাখা প্রয়োজন। এর জন্য শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালোরি পৌঁছাবে এবং হজমের জন্য সহায়তা করবে।
  • ব্যায়াম করুন-ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্যায়াম করা। অনেক ধরনের এক্সারসাইজ রয়েছে যেগুলো পড়লে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
  • সঠিক নিয়মে ঘুমান-ওজন বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের আরেকটি জরুরী বিষয় হলো ঘুম। সঠিক নিয়মে ঘুমানোর মাধ্যমে শরীর সুস্থ থাকে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ওজন বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুম কম হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় ও শরীরে এনার্জি থাকে না।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া-শরীর সুস্থ রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াটা জরুরী। সেই রকম ওজন বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াটা জরুরি নিচে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের নাম দেওয়া হলো
  1. বাটার দিয়ে স্যান্ডউইচ
  2. বানানা শেক
  3. ছোলা ভুনা
  4. পিনাট বাটার
  5. বাদাম ও কিসমিস
  6. হোমমেড স্নাক্স
আরো পড়ুনঃ

ওজন কম হবার কারণ

পৃথিবীতে অনেক গঠনের এবং আকারের মানুষ রয়েছে। কেউ কেউ আছে অনেক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, আবার কেউ কেউ আছে ছিপ ছিপা রোগা শরীরের। অনেক মানুষ আছে যাদের সঠিক নিয়ম-কানুনের অভাবে ওজন কমে যায় এবং বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে জর্জরিত থাকে। যাদের বরাবরই ওজন বাড়তে চায় না ওজন কম তাদের কিছু কারণ তুলে ধরা হলো-
  • দেহের চাহিদা অনুযায়ী খাবার না খাওয়া যাকে বলে পুষ্টিহীনতা
  • নিয়মিত খাবার না খাওয়া এবং খাবারে অনিহা
  • পর্যাপ্ত না ঘুমানো
  • হরমোন জনিত অস্বাভাবিকতা যেমন, থাইরয়েড
  • পারিবারিক ও জেনেটিক্যাল কারণে ওজন কম থাকা
  • অতিরিক্ত টেনশন এবং মানসিক চাপ থাকা
  • দীর্ঘমেয়াদি কিছু রোগ যেমন ক্যান্সার, টি বি, ডায়াবেটিস
  • গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমে সমস্যা

সকালে কোন খাবার খেলে ওজন বাড়ে

সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিজ্ঞানী গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খাবার খেলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে আপনি ওজন বাড়ান বা কমান আপনার খাবারটি হতে হবে পুষ্টিকর সকালের ব্রেকফাস্ট সব সময় পুষ্টিকর খাবার দ্বারা শুরু করা উচিত।অনেক মানুষ আছে যারা ঘুম থেকে দেরিতে ওঠে এবং দেরিতে নাস্তা করে। সঠিক সময়ে খাবার না খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। আপনি ওজন বাড়াতে চাইলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে হবে। 

কোন-খাবারে-ওজন-বাড়ে


অস্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ালে দেহের অনেক ক্ষতি হবে। ঘুম থেকে ওঠার পর এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে নাস্তা কমপ্লিট করতে হবে দিনের শুরুতেই হালকা গরম পানি, বাদাম, কাঁচা ছোলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। তারপর সকালের নাস্তা কমপ্লিট করুন। ওজন বাড়াতে আরেকটি খাবার খুব সহযোগিতা করে সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন। আপনি আপনার খাবারের সব সময় উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার, প্রোটিনযুক্ত খাবার, এবং ভালো ফ্যাট জাতীয় খাবার যুক্ত করুন। প্রতিনিয়ত ডিম দুধ বাদাম এগুলো খাওয়ার অভ্যাস করুন।
 
সকালের নাস্তাটি সবসময় স্বাস্থ্যকর রাখার চেষ্টা করুন। প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাদ্য থেকে দূরে থাকুন কারণ এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ, কেমিক্যাল, রাসানিক দেওয়া থাকে। এই জন্য সকালের নাস্তায় ঘরে তৈরি খাবার খাবার চেষ্টা করুন।সকালের নাস্তায় কখনোই খালি পেটে কফি পান করবেন না। সকালের খাবার অবশ্যই পুষ্টিকর রাখার চেষ্টা করবেন যেমন মিল্কশেক, ফাইবার যুক্ত খাবার, প্রোটিন জাতীয় খাবার এগুলো খাবারের তালিকায় রাখবেন। কিন্তু কখনই সকালের খাবারে ফাস্টফুড, স্মোদি, প্যানকেক রাখবেন না। রাখবেন না।

সঠিক নিয়মে ওজন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা

ওজন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে জরুরি বিষয়টি হলো সঠিক নিয়ম। সঠিক নিয়ম মেনে ওজন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সঠিক নিয়ম মেনে ওজন বৃদ্ধি করলে আমাদের শরীরে অসুখ বাসা বাঁধবে না। শরীর সুস্থ সবল থাকবে এবং স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।

  • ডিম-সঠিক নিয়মে ওজন বৃদ্ধির জন্য ডিমের ভূমিকা অপরিসীম। ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। ডিমে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন এবং ভালো চর্বি। ডিম শরীলে শক্তি জোগাতে এবং পেশীর গঠন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডিম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • আলু ভাজা বা সেদ্ধ-আমাদের দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার হলো আলু। আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা দেহে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তারা সকালে আলু সিদ্ধ বা ভাজা খেতে পারেন এটা পুষ্টির দিক থেকেও বেশ উপকারী।
  • শুকনো ফলমূল এবং বীজ-শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং সঠিক নিয়মে ওজন বৃদ্ধির জন্য শুকনো ফলমূল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। প্রতিদিন আপনার খাবার তালিকায় শুকনো ফলমূল ও বিভিন্ন বীজ রাখার চেষ্টা করুন। এটি ওজন বাড়াতে পুষ্টি সরবরাহ করতে অনেক সহায়তা করে। শুকনো ফলমূল ও বীজ সকালে খাওয়া উত্তম। এতে শরীরে শক্তি যোগায়। বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে বাদামের পুষ্টি গুণ আরো বেড়ে যায়।
  • দুধ ও মধু-সঠিক নিয়মে ওজন বৃদ্ধির জন্য দুধ ও মধুর ভূমিকা অপরিসীম। কারণ দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ফ্যাট। দুধ প্রোটিনেরও একটি ভালো উৎস যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তায় এক গ্লাস দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। সারাদিনের শক্তি সঞ্চয় ও হয়।

স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন বাড়ানোর টিপস

স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন বাড়ানো সম্ভব। তবে অসুস্থ করার উপায়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন বাড়ানো ঠিক নয়। এতে করে শরীরের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। এমন অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যেগুলো খেয়ে আমরা সঠিক পদ্ধতিতে ওজন বাড়াতে সক্ষম হব। নিজে ওজন বাড়ানোর কয়েকটি টিপস উল্লেখ করা হলো-
  • প্রতিদিন এক্সারসাইজ করা
  • খাবার রুটিন অনুযায়ী খাওয়া
  • দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার খাবার খাওয়া
  • হেলদি স্ন্যাকস খাবার খাওয়া
  • প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া
  • হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া
  • নিয়ম মেনে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো
  • বাড়ির খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা
উপরের টিপস গুলো ফলো করে চললে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন বাড়ানো সম্ভব। আপনি যখন ওজন বাড়াতে চাইবেন তখন অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়ানো হচ্ছে কিনা। শুধুমাত্র বাইরের খাবার খেয়ে ওজন বাড়ালে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে না আপনি ফিট থাকবেন না। 

আরো পড়ুনঃ 

ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েট প্ল্যান

ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক ডায়েট প্লান এর প্রয়োজন। সঠিকভাবে ডায়েট প্ল্যান করলে ওজন বাড়ানো স্বাস্থ্যকর উপায়ে হবে। ওজন বাড়ানোর কিছু স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্ল্যান আছে । সেই প্ল্যান অনুযায়ী খাবার খেলে অবশ্যই সুস্থ-সবল ভাবে ওজন বাড়ানো যাবে। ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েটে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার এগুলোতে কি কি ধরনের খাদ্য খেতে হবে তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

ওজন-বাড়ানোর-সহজ-উপায়

সকালের নাস্তা
ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো যুক্ত করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, ডিম, কলা, খেজুর ইত্যাদি।ডিম দিয়ে অনেক পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও মিনারেল রয়েছে। ডিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডিম খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও হাড় গঠন করতে সহায়তা করে। ডিমে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আর ভিটামিন বি টু ত্বকে সুন্দর ও মসৃণ করে।

  • দুধ ওজন বাড়াতে অনেক সহায়তা করে। দুধের পুষ্টিগুণ অনেক, শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের জন্য দুধের ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিদিনে এক গ্লাস দুধ খেতে পারলে শরীরের বিভিন্ন প্রকার সাধিত হয়। প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান দুধে রয়েছে। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং b12 রয়েছে। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে। রক্তস্বল্পতা দূর করে।
  • কলা ওজন বাড়াতে অনেক হেল্প করে। পলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ফাইবার। যা হজম শক্তিতে সহায়তা করে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। কলা খুব সস্তা অন্যান্য ফলের তুলনায়। এবং এটা সহজেই পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে এক দুইটা কলা খাওয়া প্রত্যেকটা মানুষের প্রয়োজন। কলা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • শরীরের পুষ্টির জন্য খেজুরের ভূমিকা অনেক। খেজুর একটি পুষ্টিকর ফল। খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের হাড় গঠন ও দাঁত এর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। খেজুরে রয়েছে অনেক ফাইবার। ফাইবার শরীরে হজমে সাহায্য করে, হার্টের রোগীর ঝুঁকি কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। খেজুর সকালে ঘুম থেকে উঠে খেজুর খেয়ে নিলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হয়।তাই সকালের খাবারে সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা প্রয়োজন বিশেষ করে ফল জাতীয় খাবার। যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং এটি ওজন বাড়াতেও অনেকটাই সাহায্য করে। আপনার ডায়েট চাটে এই কয়েকটি খাবার রাখাটা জরুরী।
দুপুরের খাবার
মুরগির মাংসঃ দুপুরের খাবারে ডায়েট চাটে মুরগির মাংস রাখা প্রয়োজন। ওজন বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন দুই টুকরো করে মুরগির মাংস খাওয়া প্রয়োজন। মুরগির মাংসের সব উপকারি ফ্যাট থাকে। যেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো কিন্তু গরুর বা খাসির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ গরু হাঁসের মাংসের অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যার কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়ে থাকে। তাই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে মুরগির মাংসের বিকল্প নেই। এছাড়া মুরগির মাংসের পাশাপাশি ডিম ডাল এগুলোও রাখতে পারেন।

  • টক দইঃ টক দই একটি উপকারী খাদ্য। টক দই খেলে হজমে সহায়তা করে। টক দই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। টক দই দুধের চাহিদা পূরণ করে, টক দইয়ে উপকারী জীবাণু থাকে যা পেটের ভেতরের উপকারী অনুচিত গুলোর মত নতুন আরো অনেকগুলো উপকারী জীবাণু দেহে যোগ করতে পারে। এটা আপনার শরীরের ক্ষতি বানাও থেকে রক্ষা করবে।তবে মিষ্টি দই না খায় ভালো। মিষ্টি দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। মিষ্টি দই বেশি খেলে ওজন বাড়া তো দূরে থাক এটা অস্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ার জন্য সাহায্য করবে। না এমনটা নয় তবে পরিমাণে কম খেতে হবে।
  • ডালঃ ডাল একটি পুষ্টিকর খাবার। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আমিষ। মুরগির মাংস থেকে যেমন প্রোটিন পাওয়া যায় ডাল থেকেও তেমন প্রোটিন পাওয়া যায়। কিন্তু গরু খাসির মাংস না খাওয়াই ভালো। কারণ ডালে কোন খারাপ চর্বি না থাকার কারণে এটি খেলে কোন ঝুঁকি নেই। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানি সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। যা একটি সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। সব সময় ঘন ডাল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে, পাতলা ডালে তেমন কোন পুষ্টি নেই। ডাল এক ধরনের ফ্রি বায়োটিক খাবার।
রাতের খাবার
আমরা দুপুরবেলা যেসব খাবার খাব ঠিক সেই খাবারগুলোই রাতে খাওয়ার চেষ্টা করব তাহলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। অনেক সময় রাতের খাবার ঠিকমতো খাওয়া হয় না কিন্তু এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। প্রতিটি সঠিক নিয়মে ডায়েট চার্ট ফলো করে রাতের খাবার খাওয়া এবং এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া প্রয়োজন।এছাড়াও হালকা নাস্তার সময় বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খেতে পারি। এছাড়াও আমরা চাইলে সালাদ খেতে পারি তার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আসল কথা আমরা নিয়মিত যা খাই সেটা যেন স্বাস্থ্যকর হয় এবং এই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে যেন আমাদের ওজনটা বৃদ্ধি পায়।

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এমন পাঁচটি খাবারের নাম

সে এমন ধরনের অনেক মানুষ রয়েছে যারা ওজন কমানোর বদলে বাড়াতে চাই। তাদের জন্য এমন কয়েকটি আদর্শ খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো খেলে ওজন বাড়বে এবং শরীরে শক্তি ও যোগাবে। আসুন জেনে নেই ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এমন পাঁচটি খাবারের নাম ও বর্ণনা- 

  • কিসমিস ওজন বাড়ানোর জন্য অন্যতম উপকারী খাদ্য। কিসমিস তৈরি হয় আঙ্গুর ফল থেকে। আঙ্গুর ফল রোদে শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি করা হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে সারারাত ভিজিয়ে রাখা কয়েকটি কিসমিস খেলে বা কিসমিস ভেজানো পানি খেলে শরীরের অনেক ভালো উপকার সাধিত হয়। কিসমিস হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার , পটাশিয়াম, ফ্লোরাইড, ভিটামিন বি সিক্স ইত্যাদি উপাদান রয়েছে।
  • ওজন বাড়ানোর জন্য আরেকটি আদর্শ খাবার হল খিচুড়ি। চাল ডাল মসলার সমন্বয়ে তৈরি হয়। খিচুড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন আছে যেটা স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে কাজ করে। এই খিচুড়িতে থাকা ডালে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, খাদ্য আশ এবং এমাইনো এসিড। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে খিচুড়ি খাওয়ার জরুরী।
  • বেশিরভাগ মানুষের খাদ্য তালিকায় আলু পছন্দনীয় খাবার হিসেবে যুক্ত থাকে। আলো খেতে অনেক সুস্বাদু। সিদ্ধ আলোতে পাবেন শর্করা, খনিজ লবণ, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ইত্যাদি। আমরা প্রতিনিয়ত খাবারের সাথে আলো যদি যোগ করি তাহলে আমরা স্বাস্থ্যকর উপায় ওজন বাড়াতে পারবো। প্রতিদিন কমপক্ষে তুই থেকে চারটি আলু খাওয়া প্রয়োজন।
  • ডিম একটি পছন্দনীয় খাবার। এবং এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারী। ডিম খেলে শরীরে অনেক প্রকার উপকার সাধিত হয়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আমাদের ওজন বাড়াতে কাজ করে কারণ ডিমের কুসুমে থাকে প্রচুর ক্যালরি। এছাড়াও ডিম একটি সুস্বাদু পুষ্টিকর খাবার
  • বাংলাদেশের মানুষ ভাত খেতে পছন্দ করে। ওই যে কথায় বলে না মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালিরা ভাত না খেলে থাকতে পারে না। তিন বেলা খাবার মধ্যে এক বেলা ভাত থাকতেই হবে। তবে ভাত বা ভাতের মাড় আমাদের ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভাত একটি শর্করা জাতীয় খাবার।
  • ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় রাও পিনার্ট বাটার খেতে পছন্দ করে। বাটার মূলত বাদাম থেকে প্রস্তুত করা হয়। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ফাইবার এবং ভিটামিন ই। পেনার বাটার খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে পিনাট বাটার খুবই উপকারী। ওজন বৃদ্ধিতে পিনাট বাটারেরভূমিকা অপরিসীম।উপরে উল্লেখিত কয়েকটি খাবারের বর্ণনা দেয়া হল। যেসব খাবার খেলে আমরা ওজন বাড়াতে সক্ষম হব এবং সেটা হবে স্বাস্থ্যকর উপায়। আপনিও চাইলে ওজন বাড়ানোর এই খাদ্যগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ

কিভাবে অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

অস্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বৃদ্ধি করলে সেটা ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে এটা খুবই ক্ষতিকারক হয়ে যায়। তাই অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি থেকে স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বৃদ্ধি করা শ্রেয়। তাই কিভাবে অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধির ঝুকিয়ে আড়ানো সম্ভব সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব-

  •  মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা-অনেক মানুষ আছে যারা অস্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করে যেটা আমাদের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি পেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হয় যেমন দুর্বল চিত্ত, বিষণ্ণতা এবং মানসিক চাপ বেড়ে যায়। তাই মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে এটার প্রতিরোধক হিসেবে সুস্থতার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে, টেনশন ফ্রি থাকতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের সহায়তা নিয়ে বা পরিবারের সহায়তা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
  • ঘুমের সমস্যা-অসুস্থকর ভাবে ওজন বৃদ্ধি পেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে যাকে বলে স্লিপ আপনিয়া, যা আমাদের ঘুমকে প্রচুর ভাবে প্রভাবিত করে। ফলে আমাদের ঘুম কম হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই ঘুমের সমস্যা থেকে প্রতিরোধ করতে চাইলে আমাদের উচিত সুষম খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত বাজে খাবার এড়িয়ে চলা এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা।
  • উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টরেল বৃদ্ধি পায়-অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর উপায় ওজন বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি কোলেস্টরেলমাত্রাও বেড়ে যায় রক্তে যা আমাদের শরীরের জটিল অবস্থার সৃষ্টি করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুকি বাড়ায়-অস্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধি পেলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারেরও ঝুঁকি বাড়ে। এসব বীরভূমির আগের ছুটি থেকে বাঁচতে চাইলে আমাদের সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে তাহলে এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতা-অস্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বৃদ্ধি পেলে শরীরে হর মনের ভারসাম্যহীনতা বেড়ে যায়। ফলে শরীরের কোন কিছুই ঠিকভাবে পরিচালিত হয় না। এই হরমোন ভারসাম্যহীনতা দূর করার জন্য আমাদের উচিত পুষ্টিকর খাবারের উপর জোর দেওয়া এবং সঠিক ডায়েট চার্ট মেইনটেইন করা।

নিরাপদ উপায়ে ওজন বাড়ানোর টিপস

নিরাপদ উপায়ে ওজন বাড়ানোর অনেক কার্যকরী উপায় রয়েছে। যা জানাটা অনেক জরুরী, ওজন বাড়ানোর জন্য যেমন মানুষ কষ্ট করে কোন ওজন কমানোর জন্য মানুষ অনেক কষ্ট করে। অনেক মানুষের অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরেও ওজন বাড়েনা। তাদের দেখতে রোগা মনে হয় এবং তাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আজ আমরা নিরাপদ উপায়ে  কিভাবে ওজন বৃদ্ধি করা যায় সেই টিপসগুলো সম্পর্কে জানবো

  • খালি পেটে গুড়ের শরবত পান করুন-আপনি যদি খুব রোগা হয়ে থাকেন এবং দুর্বল বোধ করেন তাহলে আপনার জন্য আদর্শ খাবার হল গুড়ের শরবত। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গুড়ের শরবত খেলে অনেক উপকার সাধিত হয়। শীতের মৌসুমে গুড়ের শরবত পাওয়া যায় যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই গুড়ের শরবত পান করলে শরীরের অনেক উপকার সাধিত হয়।
  • প্রতিদিন বানানা শেক পান করুন-নিরাপদ উপায়ে ওজন বাড়ানোর আরেকটি জিনিস হল কলা যাকে ইংরেজিতে বানানা বলা হয়। অনেক মানুষ কলা খেতে খুব পছন্দ করে। স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য নিরাপদ উপায়ে কলা একটি আদর্শ খাবার। কলায় অন্যান্য পুষ্টির পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে এবং ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কলার সাথে দুধ মিশিয়ে একটি সেক তৈরি করে খেলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পায় আর এটি সকালে খাওয়া উত্তম। এটি সকালে খেলে শরীরের শক্তি উৎপাদন হয় এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী হয়।
  • ড্রাই ফলমূল খেয়ে ওজন বাড়ান-যেসব মানুষ স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে রোগা তারা নিরাপদ উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে আরেকটু উত্তম মাধ্যম হলো ড্রাই ফলমূল খাওয়া। তাজা ফল শুকিয়ে যে ফল থাকে তাকে শুকনো ফল বলে। আর এই শুকনো ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি ওজন বাড়াতেও অনেক সহায়তা করে। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শুকনো ফলমূল রাখা প্রয়োজন যা আমাদের শরীরের শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
  • ভেজানো বাদাম খেলে ওজন বাড়বে-সকালে খালি পেটে রাতে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেলে খুবই উপকার হয় এটি আমাদের মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ করার পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইবারের পাশাপাশি ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত সকালে 5 থেকে 8 টা বাদাম খেলে শরীরের অনেক উপকার সাধিত হয় এবং আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্যঃ ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়

উপরই উক্ত আলোচনায় ওজন বাড়ানোর কিছু টিপস এবং কি খেলে ওজন বাড়বে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি পাঠক হিসেবে আপনি এটা পড়লে খুবই উপকৃত হবেন। ওজন বাড়ানোর জন্য সহজ উপায় হলো সুস্থভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার দাবার খাওয়া এবং ব্যায়াম করা।আমি মনে করি,ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পুষ্টিকর খাদ্য খেয়ে ওজন বাড়ানো। বাহিরের বাজে খাবার না খেয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো উচিত।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url