কেশরাজ গাছ চুলের যত্নে
কেশরাজ গাছকে বাংলায় অনেক সময় ভৃঙ্গরাজ বা ভাঙ্গা নামেও ডাকা হয়। এটি আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। বিশেষ করে এটি চুলের যত্নে বিশেষ কার্যকরী। বহু কাল ধরে এই কেশরাজ গাছের ব্যবহার হয়ে আসছে চুলের যত্নে।
আজকের আর্টিকেলটিতে কেশরাজ গাছ দিয়ে চুলের কি কি যত্ন করা হয় এবং এটি কতখানি উপকারি গাছ সেটি নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়াও এটি বাণিজ্যিকভাবে অনেক সফলতা অর্জন করেছে। কেশরাজ গাছের অনেকগুলো গুণাগুণ ও ওষুধি গুণ রয়েছে।
পেজ সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কেশরাজ গাছের কিছু কার্যকরী টিপস দেওয়া হলো
চুলের যত্নে কেশরাজের ব্যবহার
চুলের যত্নে কেশরাজের ব্যবহার যুগ যুগ থেকে হয়ে আসছে। এটি চুলের জন্য খুবই
উপকারী একটি গাছ। এটি চুলের যত্নে বিভিন্ন ভাবে কাজে লাগে। চুলের যত্নে কেশরাজের
ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে দেওয়া হলো। কেশরাজ গাছ চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে
কারন কেশুরাজ চুলে পোড়া শক্ত করে ফলে চুল পড়া কমে যায়। ক্যাল্পে রক্ত
সঞ্চালন বাড়ায় ফলে নতুন চুল জন্মায়। এছাড়াও এটি চুল ঘন ও মজবুত করে কারণ
কেশরাজে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল চুলকে পুষ্টি যোগায়। হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ ও
প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এটির ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি চুলের নানা সমস্যার প্রাকৃতিক
সমাধান হিসেবে কার্যকর। আবার এটি পাকা চুল কালো করতেও সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ
কেশরাজ গাছ চেনার উপায়
কেশরাজ গাছ ছোট ও ঘাস জাতীয় একটি ভেষজ উদ্ভিদ। কেশরাজ গাছ চেনার উপায় হল এই
গাছের পাতা সরল, লম্বাটে ও কিছুটা ধারালো কিনারা যুক্ত। পাতাগুলো একান্ত ভাবে
শাখায় থাকে, পাতায় হালকা লোম দেখা যায় এবং এই পাতার রং কালচে সবুজ।
কেশর আজ গাছের গঠন হলো গাছটি ছোট আকৃতিতে, সাধারণত ১৫ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার
লম্বা হয়। শাখা-প্রশাখা বেশ ছড়িয়ে থাকে। ডাটা নরম, সবুজ এবং কিছুটা
লোমযুক্ত। এই গাছে ছোট ছোট সাদা রঙের অনেক সুন্দর ফুল ফোটে, ফুলগুলো দেখতে
গোলাকার ডেইজি ফুলের মতো অনেকটা। এই ফুলের ব্যাস ছয় থেকে আট মিমি হয়।
কেশরাজ গাছের মূল তন্তুযুক্ত ও মাটির নিচে ছড়ানো, এটির গন্ধ সামান্য ভেষজ
ধরনের হয়। গাছের সব অংশে সামান্য তিতকুটে স্বাদ ও হালকা ভেষজ গন্ধ থাকে।
কেশরাজ গাছ সাধারণত রাস্তার ধারে, জলাবদ্ধ বা ভেজা জায়গায় ও জমির পাশে
জন্মায়। বর্ষাকালে এই গাছটি বেশি দেখা যায়। কেশরাজ গাছের আরো অন্যান্য ভেষজ
গুনাগুন রয়েছে, যেটা আমাদের শরীরের ঔষধি গুনাগুন পূরণ করে। কেশরাজ গাছ চেনাটা
খুব সহজ, তবে কেশরাজ গাছের মতোই দেখতে আরেকটি গাছ আছে অনেকেই ওই গাছের সাথে
কেশরাজ গাছকে গুলিয়ে ফেলেন।
কেশরাজ পাতার উপকারিতা
কেশরাজ পাতায় রয়েছি বহু ভেষজ গুনাগুন যা প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও
গ্লুকোজ ঘরোয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি শুধু চুলের যত্নে নয় বরং ত্বক ও
স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপকারে আসে। কেশরাজ পাতার উপকারিতা অপরিসীম। নিম্নে
কেশরাজ পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- চুলের যত্নেঃ চুলের যত্নে কেশরাজ পাতার ভূমিকা অপরিসীম। কারণ এটি চুল পড়া রোধ করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, খুশকি ও কাল্পের ইনফেকশন কমায়, পাকা চুল প্রতিরোধ করে এবং চুল ঘন উপস্থিত করে। কেসরাজ পাতা বেটে তেল বা পানি মিশিয়ে মাথায় লাগালে উপকার সাধিত হয়
- ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের যত্নে কেশরাজ পাতার উপকারিতা অপরিসীম। ত্বকের যত্নে যেসব উপকার হয় তা হল চুলকানি, ফুসকুড়ি ও চর্মরোগে আরাম দেয়। জীবাণু নাশক ও এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণ আছে যার জন্য এটি ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এটির পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে তাড়াতাড়ি ক্ষত সেরে যায়।
- হজমে সাহায্য করেঃ কেশরাজ পাতা হজমে অনেক সহায়তা করে যাদের গ্যাস্ট্রিক, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য এই পাতার গুড়া সামান্য পরিমাণ হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেটে যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কেশরাজ পাতার আরেকটি গুণ হলো এটিতে এন্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফ্রি রেডিকেল প্রতিরোধ করে বার্ধক্য আসতে দেয় না।
- লিভারের জন্য উপকারীঃ কেশরাজ পাতা লিভার ডিটক্স করতে সাহায্য করে কারণ এটি জন্ডিস রোগে উপকারী ভূমিকা পালন করে। এই পাতা সেদ্ধ করে রস বের করে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে তবে সেটি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
কেশরাজ পাতার চুলের উপকারিতা
কেশরাজ পাতা আয়ুর্বেদে চুলের রাজা নামে পরিচিত। এর পাতা চুলের নানা সমস্যার
জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেশরাজ পাতার চুলের উপকারিতা হলোঃ
- কেশরাজ পাতায় থাকা ভেষজ উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করে
- পাতার রস কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
- কেশরাজ পাতা নিয়মিত ব্যবহারে পাকা চুল কমে এবং প্রাকৃতিক কালো রঙ ধরে রাখে
- কেশরাজ পাতা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি দেয় ফলে চুল হয় সিল্কি এবং সফট
- যাদের মাথায় খুশকি আছে তারা এই পাতা ব্যবহার করলে খুশকি ও কাল্পের প্রদাহ কমিয়ে ফেলে
কেশরাজ গাছের ব্যবহার
কেশরাজ গাছের ব্যবহার বহুমুখী এবং এর প্রয়োগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম
হয়ে থাকে। কেশরাজ গাছের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা
করা হলো
ঔষধি ব্যবহার
কেশরাজ গাছের পাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি হয় যা চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে
ব্যবহার করা হয়। যেমন ত্বকের প্রদাহ কমাতে ও চুলের যত্নে এটি ব্যবহার করা
হয়। বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে পল্লী চিকিৎসকরা এই কেশরাজ গাছের
ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন। কেশরাজ গাছকে অনেকেই প্রাকৃতিক টনিক
হিসেবেও আখ্যায়িত করে থাকেন। কারণ এই গাছটিতে রয়েছে প্রাকৃতিক
এন্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি। বিভিন্ন জায়গায় বৈজ্ঞানিক
গবেষণা করার মাধ্যমে গাছের উপাদান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাতে
প্রমাণিত হয়েছে এটি ফ্রি রেডিকেল ও প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন
করে।
রান্না ও খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার
কেশরাজ গাছ রান্না ও খাবার তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। রান্না করার সময়
এর বিশেষ কিছু অংশ রান্নায় ব্যবহার করে রান্নার স্বাদ ও গন্ধব বৃদ্ধি করার
জন্য। এছাড়াও এটি পাউডার হিসেবেও রান্নার খাবার এ ব্যবহার করা যায়। কারণ এই
গাছটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই
এটি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে আমাদের সকলের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
শিল্পীক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারে
শিল্পীক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারে কেশরাজ গাছের ভূমিকা অপরিসীম। প্রসাধনী সামগ্রী
তৈরি করার জন্য কেশরাজ গাছ ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে বাণিজ্যিকভাবে আমরা
অনেক উন্নতি করতে পারছি। মেয়েদের চুলের যত্নে বিভিন্ন রকম প্রসাধনী
ব্যবহার করে থাকেন, এজন্য কেশরাজ গাছের উপাদান দিয়ে তেল ও অন্যান্য
রূপচর্চার জিনিস তৈরি করা হয়। এছাড়াও মেয়েরা প্রাকৃতিকভাবে কেশরাজ গাছের
পাতার বিভিন্ন প্যাক, তেল ব্যবহার করে থাকেন। আর এইগুলা তেল বাজারে বিক্রি
করে মানুষ বাণিজ্যিকভাবে অনেক লাভবান হচ্ছে।
কেশরাজ গাছ কোথায় পাওয়া যায়
কেশরাজ গাছ মূলত প্রাকৃতিকভাবে ভেজা, স্যাঁতস্যাঁতে ও আদ্র জায়গায়
জন্মায়। কেশোরাজ গাছ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশে রাস্তার
ধারে জলাবদ্ধ বা ভেজা জমিতে দেখা যায়। এছাড়াও এটি গ্রামের মাঠঘাট
পুকুরপাড় খালপাড় ইত্যাদিতে জন্মে থাকে। বর্ষাকালে এই গাছ বেশি জন্মায়,
কিছু এলাকায় এটি আগাছা হিসেবে জন্মে। এছাড়াও বাংলাদেশ ছাড়া দেশের বাইরেও
এগুলো চাষ হয়। ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মূলত গ্রীষ্মকাল ও
বর্ষা প্রবন অঞ্চলে এটি জন্মগ্রহণ করে। অন্যান্য দেশ চীন, থাইল্যান্ড,
মালয়েশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে এটি জন্মে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
কেশরাজ গাছের উপকারিতা
কেশরাজ গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। যা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে
আসছে। কেশরাজ গাছের কিছু ঔষধি গুনাগুনও রয়েছে। কেশরাজ গাছের উপকারিতা
নিম্নে আলোচনা করা হলো-
- ত্বক ও চুলের যত্নেঃ কেশরাত গাছ ত্বক ও চুলের যত্নে বিশেষ উপকারী। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই গাছের নির্যাস ও পাউডার দিয়ে বিভিন্নভাবে ত্বকের উপকারী জিনিস তৈরি করা হয় যা ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর হয়। এছাড়াও এই গাছ দিয়ে তেল বানিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের অনেক উপকার সাধিত হয়।
- হজমে সহায়তা করেঃ কেশরাজ গাছ হজম প্রক্রিয়া সহজ করতে সাহায্য করে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগে ভোগেন তারা এই গাছের রস বানিয়ে খেলে হজবে সহায়তা করবে। এছাড়াও এটি গ্যাসের সমস্যা, পাকস্থলীর প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কেশরাজ গাছের আরেকটি উপকারিতা হলো এই গাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান যার কারণে এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি গুড়া করে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- প্রাকৃতিক ঔষধি উপাদানঃ কেশরাজ গাছ প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের পাতা, ফুল, ফল ও ছালে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুনাগুন। এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।
কেশরাজ পাতার অপকারিতা
কেশরাজ পাতা প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে চুল ও ত্বকের যত্নে বহুল ব্যবহৃত হয়,
বিশেষ করে আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা পদ্ধতিতে। তবে এটি সবার জন্য উপকারী
নয় কারণ কেশরাজ পাতার কিছু সম্ভাব্য অপকারিতা রয়েছে নিম নেতা দেওয়া
হলোঃ
- কেশরাজ পাতা সংবেদনশীল তোকে ব্যবহার করলে অনেক সময় এলার্জি, চুলকানি বা রেস দেখা দিতে পারে। এজন্য এটি ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করা উচিত।
- গর্ভবতী বা স্তনদানকারী নারীদের ক্ষেত্রে কেশরাজ পাতা ব্যবহার করার কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই বিশেষ করে মুখে খাওয়ার ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
- কেশরাজ পাতা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। কারণ এটির চুলের স্বাভাবিক তেল শুকিয়ে নিতে পারে।
- বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কেশরাজ পাতা বেশি পরিমাণে খেলে লিভারের উপর প্রভাব পড়তে পারে, যদি এটি আমরা অন্য ওষুধের সঙ্গে মিশিয়ে খায় তাহলে।
- আমরা অনেকেই না জেনে কেশরাজ তেল বাপের অন্যান্য উপাদানের সাথে মিলিয়ে ব্যবহার করি কিন্তু এতে উপকারের চেয়ে অপকারটাই হতে পারে
কেশরাজ গাছের বৈশিষ্ট্য
কেশরাজ গাছের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি ছোট বর্ষজীবী উদ্ভিদ।
সাধারণত এটি ২০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এটি বাংলাদেশ ছাড়াও
অন্যান্য দেশেও উষ্ণ আবহাওয়ার অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত
ভেজা জমি, রাস্তার ধারে, জলের ধারে ঘেঁষে জন্মায়। কেশরাত গাছের পাতা
গুলি লম্বাটে ও কিছুটা ধারালো প্রান্তযুক্ত। পাতার রং গাড়ো সবুজ এবং এতে
হালকা লোম থাকতে পারে। কেশরাজ গাছের ফুল দেখতে খুব সুন্দর কারণ এই
ফুল দেখতে সাদা রংয়ের এবং ছোট আকৃতির অনেকটা সূর্যমুখী গাছের মতো দেখতে,
এই ফুল মূলত পাতার কাঁধে ফুটে। এই গাছের মূল শক্তিশালী এবং শিকড়
মাটিতে ছড়ায়। কান্ড নরম, সবুজ এবং কিছুটা লতানো ধরনের হয়।
আরো পড়ুনঃ
শেষ কথা-চুল পড়া রোধ করতে কেশরাজ
চুল পড়া রোধ করতে কেশরাজ গাছের ভূমিকা অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকে
বিশেষ করে মেয়েরা কেশরাজ গাছের ব্যবহার করে থাকে তাদের চুলের যত্নে। এটি
মাথায় বেটে লাগালে চুল পড়া রোধ হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য
করে। আজকে আর্টিকেলটিতে কেশরাজ গাছের এ টু জেড বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে। আশা করি পাঠক হিসেবে আপনি এটি পড়লে কেশরাজ গাছ সম্পর্কে অনেকটাই
ধারণা পাবেন এবং এর সম্পর্কে জানলে অনেক উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।

ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url