ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ

ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাস জনিত রোগ, যা সাধারণত হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। এর প্রতিকার হিসেবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান করা এবং প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন। গুরুতর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা-রোগের-প্রতিরোধ-ও-প্রতিকারের-উপায়

ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধের জন্য বার্ষিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন গ্রহণ, হাত ধোয়ার অভ্যাস এবং মাস্ক পরিধান গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা এবং হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা জরুরী। ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা এবং সচেতন হওয়া জরুরী।

পেজ সূচিপত্রঃ ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ এর কয়েকটি টিপস দেওয়া হলো

ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের প্রতিরোধ

রোগের প্রতিরোধের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। প্রথমত, প্রতিবছর ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা গ্রহণ করা উচিত, বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও রোগে ভুগেন এমন ব্যক্তিদের। দ্বিতীয়ত, হাঁচি কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা এবং ব্যবহৃত টিস্যু ঠিকভাবে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয়ত, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং ভিড় এড়িয়ে চলা যাতে সংক্রমণ বাসা বাঁধতে না পারে শরীরে এবং পরিছন্নতা বজায় রাখা, রোগীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা উচিত। এসব নিয়ম মেনে চললে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে নিজেকে অন্যদের সহজে রক্ষা করা যায়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের কারণ

ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। যার প্রধান কারণ হল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এই ভাইরাসের তিনটি ধরন রয়েছে-এ, বি এবং সি যার মধ্যে এ ও বি প্রজাতি মানুষের মধ্যে মৌসুমী মহামারী সৃষ্টি করে। ভাইরাসটি সাধারণত একজন আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি বা কথা বলার মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং কাছাকাছি অবস্থানরত ব্যক্তির শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে যেমন মোবাইল, দরজার হাতল, টেবিল স্পর্শ করার মাধ্যমে যদি কেউ তার স্পর্শ করে এবং পরে তার নিজের চোখ মুখ বা না স্পর্শ করে তাহলে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও ঠান্ডা আবহাওয়া, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ভিড়ভাট্টা জায়গায় বেশি সময় অবস্থান করাও এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী।

ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর মধ্যে বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা যায় যা আমাদের জানাটা খুবই জরুরী। নিম্নে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ সমূহ দেয়া হলো
  • হঠাৎ জ্বর বা জ্বরের অনুভূতি
  • শুকনো কাশি
  • কাঁপুনি ও ঠান্ডা লাগা
  • গলা ব্যথা
  • মাথাব্যথা
  • চরম ক্লান্তি বা দুর্বলতা
  • পেশী ও শরীর ব্যথা
  • সর্দি বা নাক দিয়ে পানি পড়া
  • নাক বন্ধ হওয়া
  • শিশুদের ক্ষেত্রে বমি বা ডায়রিয়া

ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর কতদিন থাকে?

ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে এটি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। জ্বর সাধারণত প্রথম দুই থেকে তিন দিন বেশি তীব্র থাকে এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তবে যে সব উপসর্গ এই সময় দেখা যায় তা হল কাশি ও দুর্বলতা বা ক্লান্তি। এগুলো সমস্যা এক থেকে দুই সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় থাকতে পারে। যদি জ্বর সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয়। যদি জ্বর সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয় অথবা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা এবং অত্যাধিক দুর্বলতা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই জ্বর হলে অনেক সেবা যত্নের প্রয়োজন হয়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা কি বায়ুবাহিত রোগ

ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি বায়ুবাহিত রোগ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সাধারণত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়, বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশি থেকে ছড়ায়। যখন কোন আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দেয় তখন এটি ছোট ছোট জল কণিকা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে যা আশেপাশে থাকা সুস্থ মানুষের নাক মুখে এবং চোখের মধ্যে প্রবেশ করে শরীরের প্রবেশ করে এবং সংক্রমণ ঘটায়। এছাড়াও সংক্রমনে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি দরজার হাতল, মোবাইল, কাপড়চোপড় স্পর্শ করার পর যদি কোন সুস্থ ব্যক্তি মুখ বা না ওই কাপড়ের বা মোবাইলের সাথে স্পর্শ করে তাহলে তারও এই ভাইরাসটি তার শরীরে প্রবেশ করবে। এজন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া এবং দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণত বায়ুবাহিত রোগের মধ্যে আরো কয়েকটি রোগ রয়েছে যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, যক্ষা, কোভিড ১৯, হাম, জলবসন্ত ইত্যাদি। বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে বায়ুবাহিত রোগ সৃষ্টি হয় আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণেও বাই বাই তো রোগ হয় যেমন যক্ষা, যে ব্যক্তি যক্ষা হয় সে ব্যক্তির কাশি বা হাসির সময় ব্যাকটেরিয়া টা ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যাকটেরিয়া গুলো সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাকেও বিভিন্ন সংক্রমনে আক্রান্ত করে। এছাড়াও বাতাসে ধুলো, দূষণ যুক্ত পরিবেশের কারণে এগুলো মানুষের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগবালায়ের সৃষ্টি করে।

বায়ুবাহিত রোগের প্রধান লক্ষণ হল জ্বর, অবসাদ, মাথাব্যথা, ঠান্ডা লাগা বা ঘাম, শরীর ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে শরীরে দেখা দেয়। বাই বাই তো রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকাদান একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। টিকা দানের মাধ্যমে ব্যক্তিদের ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, চিকেন পক্স এবং অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই টিকা দান নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। বায়ুবাহিত রোগ যাতে না ছড়ায় এজন্য মানুষের কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে যেমন বাহিরে বের হওয়ার সময় কখনো মাস্ক ব্যতীত বের হওয়া যাবে না। নিয়মিত বাহির থেকে এসে হাত ধুতে হবে। আক্রান্ত রোগীর পাশ থেকে দূরে থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের কাজ কি

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইমিউনিটি সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে, যাতে এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। ভ্যাকসিন গ্রহণের ফলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে দ্রুত তা চিনে নিয়ে ধ্বংস করে দেয়। সিজনাল জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তি ইত্যাদি উপসর্গ কে হালকা করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরো গুরুতর অশোক যেমন নিউমোনিয়া, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মিত্য ঝুঁকেও কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী মা ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।

প্রতিবছর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস তার গঠন পরিবর্তন করে বলে বিজ্ঞানীরা প্রতিবছর নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করেন। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন বছরে একবার নেওয়া প্রয়োজন, যা সর্বশেষ ভাইরাস প্রজাতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। এটি অন্যদের মধ্যেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হার কমায়, ফলে সমাজ সিজনাল রোগ থেকে নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভ্যাক্সিন নেওয়ার ফলে কেউ পুরোপুরি ভাইরাস থেকে রক্ষা না পেলেও তার সংক্রমণ অনেক হালকা হয় এবং দ্রুত সড়ে ওঠে। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন একটি নিরাপদ এবং কার্যকরী উপায়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কি?

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস যা মূলত শ্বাসতন্ত্রকে আক্রান্ত করে। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, বি এবং থ্রি এই তিনটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত, যার মধ্যে এ ও বি প্রজাতি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটায়। এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এটি প্রতিবছর মৌসুমীর ভাইয়েরা বা মহামারীর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভাইরাসটির দ্রুত রূপ পরিবর্তন করে, তাই এর প্রতিরোধে নিয়মিত ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত। কিন্তু ভাইরাসে যাতে না আক্রান্ত হয়ে এজন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে আমরা এই ভাইরাল রোগ থেকে রক্ষা পাব।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অধিকাংশ মানুষ কয়েকদিনের মধ্যেই নিজ থেকেই সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু আবার অনেকেই সুস্থ হন না কারণ তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হলে দীর্ঘ সময় ধরে ঢুকতে পারে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, হাঁপানি এবং হৃদরোগ জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে অতি দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়। এবং কারো কারো ক্ষেত্রে মারাত্মক রূপ আকার ধারণ করে। এই সময় শিশুরাও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থেকে কিছু মুক্তির উপায় আছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঠান্ডা থেকে দূরে থাকা এবং নিজেকে উষ্ণ আবহাওয়া মধ্যে রাখা খুব জরুরী। এছাড়াও শারীরিক বিশ্রাম এবং ঘুম আরোগ্য লাভের জন্য উপকারী দিক। তবে জ্বরের তীব্রতা দেখা দিলে জ্বর না কমলে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। এই সময় ডাক্তাররা প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরিণত পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করবে, রোগীর ব্যবহৃত জামাকাপড় ভালোভাবে গরম পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে ধুতে হবে। রোগীর জিনিসপত্র অন্য ব্যক্তি স্পর্শ করার পর হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুতে হবে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের প্রতিকার

ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে প্রথমে রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। বিশ্রাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আক্রান্ত রোগীর পর্যাপ্ত ঘুমালে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। এছাড়াও এই রোগের প্রতিকার হিসেবে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই সময় রোগীকে ঘর থেকে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে সব সময় ঘরের মধ্যে থাকলে অন্যরা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে। বিশ্রাম নেওয়া সুস্থ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে আক্রান্ত রোগীর হালকা গরম পানি, সুপ, চা ইত্যাদি গলা ব্যথা ও কাশি উপশম এ সহায়ক। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে রোগ দ্রুত সারবে এবং গরম পানিতে গার্গার করাও উপকারী এতে করে গলার জালা ও ব্যথা কমে। জ্বর বা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে তবে এই সময় এন্টিবায়োটিক খাওয়া একবারেই উচিত নয় কারণ, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এজন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ গ্রহণ করতে হবে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে রোগ নিরাময় করা সম্ভব তাছাড়া বড় রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের প্রতিকার থেকে বাঁচার জন্য রোগীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখতে হবে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রোগী যেই ঘরে থাকবেন সেই ঘরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্র আলাদা করে রাখতে হবে। হাঁচি কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা জরুরি। এসব নিয়মকানুন আমরা যদি মেনে চলি তাহলে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ থেকে আমরা রক্ষা পাব। তাই আমাদের সবার এই বিষয়ে জানা এবং সচেতন হওয়া জরুরী এবং এগুলো রোগ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষেরা এইসব ভাইরাস থেকে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।

আরো পড়ুন:

লেখকের মন্তব্য-মৌসুমী ভাইরাস এর প্রতিরোধ কিভাবে করবেন

মৌসুমী ভাইরাস থেকে বাঁচাতে কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আজকেরে আর্টিকেলটিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। প্রথমত এটি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নাক ঢেকে রাখা এবং টিস্যু ব্যবহারের পর তা ঠিকভাবে ফেলা দরকার। জনবহুল জায়গায় মাস্ক ব্যবহার এবং প্রয়োজন ছাড়া ভিড় এড়িয়ে চলা উচিত, এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, পুষ্টিকর খাবার এবং বার্ষিক ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব নিয়মকানুন মেনে চললে মৌসুমী ভাইরাস থেকে নিজেকে ও অন্যদের সহজে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। আশা করি, এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনিও অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং সচেতন হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি লাইফস্টাইল অ্যান্ড হেলথ্ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url